ভারত সেবাশ্রমে বাসন্তী পুজো।—নিজস্ব চিত্র।
বাসন্তী দুর্গাপুজো ক্রমেই বাড়ছে বর্ধমানে। এক সময়ে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, উইলবাড়ি, ঢলদিঘির বিশ্বাসবাড়ি এ সব জায়গায় পুজো হত। বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরেও একসময়ে বাসন্তী দুর্গাপুজো হত। কিন্তু পরে বন্ধ হয়ে যায়। তবে সম্প্রতি ওই পুজো ফের শুরু হয়েছে। বাসন্তী দুর্গাপুজোর তালিকায় নতুন যোগ হয়েছে শহরের বীরহাটার বড় মা কালী মন্দিরের পুজো।
ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের তরফে স্বামী নবব্রতানন্দ বলেন, “টানা ১০ বছর ধরে বর্ধমানের ছোটনীলপুর আশ্রমে ওই পুজো হয়ে আসছে। প্রতিবারই মূর্তি গড়ে পুজো হয়। রায়নার ধামাস গ্রামের একটি পরিবারের তরফে আমাদের জানানো হয়, মূর্তি তৈরি হলেও পারিবারিক পুজা আর চালাতে পারছেন না তাঁরা। ওই দেবীমূর্তিটি তাঁরা আমাদের দিয়ে বলেন, শরত্কালেই যেন পুজোটি করা হয়। কিন্তু সেই সময় আশ্রমের আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় আমাদের শারদীয়া পুজো করার সামর্থ্য ছিল না। তা ছাড়া আমাদের বারাণসীর আশ্রমে শারদীয়া দুর্গা পুজো হয়। তখন আমরা বলি, এই মূর্তিটিকে বসন্তকালীন দুর্গা হিসেবে পুজো করতে পারি। পরিবারটি প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। তারপর থেকেই প্রতি বছর চৈত্র্যে ওই দুর্গাপুজো হয়ে আসছে।”
বর্ধমানের বীরহাটা বড় মা কালী মন্দিরে গত চার বছর ধরে বাসন্তী পুজো হচ্ছে। প্রথম দু’বছর মাটির মূর্তি গড়ে পুজো করা হলেও তৃতীয় বর্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের দানে তৈরি শ্বেতপাথরের দুর্গামূর্তিতে পুজো হচ্ছে। পুজো উপলক্ষ্যে ভিড়ও হয় ভালই। মন্দিরের সেবাইত দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, “একই মূর্তিতে আমরা শরত্-দুর্গার পুজোও করি। কিন্তু বাসন্তীপুজো দেখতে, না কী ওই সময়ে, কখন ভিড় সবচেয়ে বেশি হয়, তা বলা সম্ভব নয়।”
বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরেও প্রতি বছর বাসন্তী দুর্গা পুজো দেখতে মানুষের ঢল নামে। ফলে শরতের দুর্গাপুজোর সঙ্গে ধীরে হলেও পাল্লা দেওয়ার মতো জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে বর্ধমানের বাসন্তী পুজো।