সেচখালে নেমে নিখোঁজ ছাত্র

স্নান করতে গিয়ে ডিভিসি-র সেচখালে তলিয়ে গিয়েছিল দুই ছাত্র। হৈ চৈ শুনে ছুটে এসে তাদের একজনকে বাঁচায় এলাকারই দুই যুবক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৯:৫২
Share:

এই জলেই ঝাঁপ দিয়েছিল দুই ছাত্র। —নিজস্ব চিত্র।

স্নান করতে গিয়ে ডিভিসি-র সেচখালে তলিয়ে গিয়েছিল দুই ছাত্র। হৈ চৈ শুনে ছুটে এসে তাদের একজনকে বাঁচায় এলাকারই দুই যুবক। তবে রাত পর্যন্ত আরেক জনের কোনও খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ ছাত্রের নাম অর্ঘ্য বন্দোপাধ্যায়। বাড়ি শহরের বিবেকানন্দ কলেজের কাছে ঢাকেশ্বরী কলোনিতে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বর্ধমানের দু’টি স্কুলের পাঁচ ছাত্র কাঞ্চননগরের ডিভিসি -র সেচখালে স্নান করতে যায়। বোরো চাষের মরসুমে ভরা ক্যানেলে স্লুইস গেটের উল্টোদিকে পরপর ঝাঁপ দিতে থাকে তারা। মূহুর্তের মধ্যেই তীব্র স্রোতে ভেসে যায় দুই ছাত্র, অর্ঘ্য ও অরিত্র। দু’জনকে দেখতে না পেয়ে বাকি তিন জন চিৎকার করে ছোটাছুটি শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে যান। খবর পেয়ে এলাকার দুই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অসিত বিশ্বাস ও ঝণ্টু সোম ছুটে এসে জলে ঝাঁপ দেন। বর্ধমান রাজ কলেজের ছাত্র অরিত্র দত্তকে কোনওরকমে বাঁচাতে পারলেও আরেক ছাত্র অর্ঘ্যের কোনও খোঁজ পাননি তাঁরা। অর্ঘ্য শহরের মিউনিসিপ্যাল বয়েজ স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

ডিভিসির ক্যানালের পাড়ে বারবার জলে ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটলেও প্রতিদিনই কমবয়েসি ছেলেরা প্রাণের তোয়াক্কা না করে স্রোতে ঝাঁপাচ্ছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। এলাকার গৌরচন্দ্র রায় বলেন, “ঝন্টু আর অসিত খুব ভাল সাঁতার কাটে। প্রায়ই জলে ডুবে যাওয়াদের বাঁচাতে আমরা ওদের ডেকে পাঠাই।” আর ঝন্টু আর অসিত বলে, “আমাদের বাড়ি ওই ডিভিসি ক্যানেলের ধারেই। লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎই চেঁচামেচি শুনে ছুটে এসে দেখি অনেক দূরে দুটে মাথা স্রোতে হাবুডুবু খাচ্ছে। জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে কোনও মতে একজনকে তুলে ফেলি। কিন্তু ততক্ষনে আর একজন তলিয়ে গিয়েছে। তাকে কিছুতেই খুঁজে পেলাম না।”

Advertisement

বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক শম্ভুনাথ চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের স্কুলের এক ছাত্রের ডিভিসিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। খুবই খারাপ লাগছে। ছেলেটি খেলাধুলোয় খুবই ভাল। আশা করি ও বেঁচে ফিরবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন