খনিতে সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে পদক্ষেপ করার ব্যাপারে আর্জি জানানো হচ্ছে ছ’মাস ধরে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা হয়নি। বৈঠকে ডাকা হলেও উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে শ্রমিক-সুরক্ষা নিয়ে আলোচনাএই অভিযোগে অন্ডালের কাজোড়া এরিয়ার জামবাদ খনিতে কর্তৃপক্ষের ডাকা বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
এই খনিতে শ্রমিক-কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে নানা অভিযোগ শ্রমিক সংগঠনগুলির। শ্রমিক নেতারা জানান, যে যন্ত্র ব্যবহার করে কয়লা কাটতে হয়, শ্রমিকদের সেটির মোটরের উপরে উঠে কাজ করতে হয়। মোটরের চার পাশ রেলিং দিয়ে ঘেরা থাকার কথা। অভিযোগ, এই খনিতে কয়লা কাটার যন্ত্রে মোটরের রেলিং বছরখানেক আগে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তা না সারানোয় মাঝে-মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া ওয়ার্কশপে যাওয়ার রাস্তায় কোনও আলে নেই। রাস্তাটি নিয়মিত পরিষ্কারও হয় না বলে অভিযোগ। শ্রমিক সংগঠনগুলির আরও অভিযোগ, খনির গুদামে আধুনিক প্রযুক্তির মোটর থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার করা হচ্ছে না।
সোমবার দুপুরে খনি কর্তৃপক্ষের তরফে সুরক্ষা নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে আইএনটিটিইউসি, সিটু, এআইটিএউসি, বিএমএস এবং আইএনটিইউসিএই পাঁচটি শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাই যোগ দেন। খনি কর্তৃপক্ষের তরফে ছিলেন কোলিয়ারি ম্যানেজার, সুরক্ষা আধিকারিক ও সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। বিএমএস নেতা রাজেশকুমার রায়, আইএনটিটিইউসি নেতা মহম্মদ বশির, সিটু নেতা দীপেন ঘোষেরা সেখানে জানতে চান, কত দিনের মধ্যে খনিতে সুরক্ষার বিষয়গুলিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রমিক সংগঠনগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে, এক আধিকারিক জানান, এই সব ব্যবস্থা করতে ৭ দিনও লাগতে পারে, আবার এক বছরও লাগতে পারে। এ কথা শোনার পরেই শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা একযোগে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান। তাঁদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ শ্রমিক-নিরাপত্তার কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছেন না। তাই এই বৈঠকে থেকে কোনও লাভ নেই। শ্রমিক নেতা রাজেশবাবু বলেন, “বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসার কারণ আমরা লিখিত ভাবে এরিয়ার জিএম, এজেন্ট ও ডিরেক্টর (পার্সোনেল)-এর কাছে পাঠিয়েছি। খনিতে সুরক্ষার ব্যাপারে শীঘ্র ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমরা একজোট হয়ে আন্দোলনে নামব।”
খনি কর্তৃপক্ষ জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।