সন্ধ্যায় স্কুলে ঢুকে ভাঙচুর, গ্রেফতার দুই প্রাক্তন ছাত্র

রাতের অন্ধকারে স্কুলে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে দুই প্রাক্তন ছাত্রের বিরুদ্ধে। তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দুর্গাপুরের এমএএমসি এলাকায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনুমোদিত একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দু’জনকে শনাক্ত করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০১:২১
Share:

রাতের অন্ধকারে স্কুলে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে দুই প্রাক্তন ছাত্রের বিরুদ্ধে। তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দুর্গাপুরের এমএএমসি এলাকায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনুমোদিত একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দু’জনকে শনাক্ত করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সম্পদ সাহা এবং সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০৯ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। কমিশনারেটের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব জানান, হঠাৎ স্কুলের দুই প্রাক্তন পড়ুয়া কেন স্কুলের সম্পত্তি ভাঙচুর করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পিছনে কারও ইন্ধন রয়েছে কি না, তা-ও দু’জনকে জেরা করে জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। স্কুলে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই দুই প্রাক্তন ছাত্র পাঁচিল টপকে স্কুলে ঢোকে। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য রাখা ধাতব পাইপটি তারা ভেঙে দেয়। স্কুলে জলের পাইপলাইন নষ্ট করে দেয়। বিদ্যুতের স্যুইচ ভেঙে দেয়। এ সবের পরে তারা চম্পট দেয়।

ঘটনার কথা জানাজানি হতেই আশপাশের এলাকা থেকে অনেকে স্কুলে চলে আসেন। খবর পেয়ে পৌঁছন স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক কৌশিক বিশ্বাস। তিনি উদ্যোগী হয়ে সিসিটিভি ফুটেজ বের করেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। গভীর রাতে স্কুলের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশের কাছে সিসিটিভি ফুটেজও জমা দেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই অভিযুক্ত দু’জনকে শনাক্ত করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে দু’জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজে শুধু দু’জনকেই দেখা গিয়েছে। তবে দলে অন্য কেউ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিচালন সমিতির সম্পাদক কৌশিকবাবু বলেন, “এ ভাবে দুই প্রাক্তনী স্কুলের সম্পত্তি নষ্ট করছে ভাবা যায় না। পিছনে অন্য কেউ আছে বলেই আমরা মনে করছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন