এ বারেও পদকহীন বঙ্গের আইপিএস 

স্বাধীনতা দিবসেও মেলেনি। প্রজাতন্ত্র দিবসেও পাওয়া গেল না। রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদকের জন্য এ বারও পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের কোনও আইপিএস অফিসারের নাম বিবেচনায় আনেনি নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৩৩
Share:

স্বাধীনতা দিবসেও মেলেনি। প্রজাতন্ত্র দিবসেও পাওয়া গেল না। রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদকের জন্য এ বারও পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের কোনও আইপিএস অফিসারের নাম বিবেচনায় আনেনি নরেন্দ্র মোদী সরকার। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার আট জন আইপিএস অফিসারকে পুলিশ পদক দিতে চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে নাম সুপারিশ করেছিল। শুক্রবার পুলিশ পদক প্রাপকদের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বাংলার ২২ জনের নাম থাকলেও তাঁরা সকলেই কনস্টেবল থেকে অ্যাসিন্ট্যান্ট কমিশনার পদ মর্যাদার। এঁদের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক পেয়েছেন লালবাজারের ট্রাফিক বিভাগের এএসআই অলোক কুমার সান্যাল এবং বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের এসআই শম্ভুনাথ ঝা।

Advertisement

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘সারা দেশ থেকে ৮৫৫ জন পুলিশ পদক পাচ্ছেন। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই প্রাপকের সততা, কর্মদক্ষতা, নিরপেক্ষতা যাচাই করা হয়েছে।’’ যদিও নবান্নের এক শীর্ষ কর্তার অভিযোগ, ‘‘পুলিশ পদক নিয়ে এমন একচোখোমি আগে কখনও হয়নি। কোনও বছরে স্বাধীনতা দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজ্যের এক জন আইপিএস অফিসারের নামও বিবেচিত হল না, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আসলে দিল্লি রাজ্যের অফিসারদের ভিন্ন চোখে দেখছে।’’ প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে প্রতিবাদপত্র পাঠানোর কথাও ভাবা হচ্ছে বলে তিনি জানান। যা শুনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তার মন্তব্য, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইপিএস-দের নিয়ে যা যা অভিযোগ মন্ত্রকে জমা পড়েছে তা অন্য কোনও রাজ্যের ক্ষেত্রে হয়নি।’’

প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবসে চার ধরনের পুলিশ পদক দেওয়া হয়। সাহসিকতার জন্য রাষ্ট্রপতির পদক ও সাধারণ পুলিশ পদক এবং পুলিশের চাকরিতে বিশেষ অবদানের জন্য রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক ও সাধারণ পদক।

Advertisement

নবান্নের খবর, রাষ্ট্রপতির পদকের জন্য এ রাজ্য থেকে যে আট আইপিএসের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল তাঁরা হলেন, মনোজ মালব্য, অধীর শর্মা, জগমোহন, জ্ঞানবন্ত সিংহ, তন্ময় রায়চৌধুরী, নিশাথ পারভেজ, সঙ্গমিট লেপচা এবং অর্ণব ঘোষ। এঁদের মধ্যে অর্ণব ঘোষকে সারদা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে কয়েকবার নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। নন্দীগ্রাম গুলি চালনার সময় সেখানকার দায়িত্বে ছিলেন তন্ময় রায়চৌধুরী। তবে তাঁর ভূমিকা নিয়ে সিবিআইয়ের চার্জশিটে কিছু বলা হয়নি। অন্য অফিসারদের খুঁটিনাটিও খোঁজখবর করা হয়েছে বলে মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।

২০১৮-র স্বাধীনতা দিবসেও পুলিশ পদক দিতে চেয়ে নবান্ন থেকে দুই আইপিএস সঞ্জয় সিংহ এবং জগমোহনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের নাম বিবেচিত হয়নি। তবে ডব্লিউবিপিএস থেকে পদোন্নতি পাওয়া তিন অফিসারকে অবশ্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন