—ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের পরে এখন ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি চলছে বামেদের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কবে কোথায় সভা করবেন, তা নিয়ে বিজেপি শিবিরে লেগেই রয়েছে অনিশ্চয়তা। এই অবস্থায় বড় সমাবেশের পথে না গিয়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য দ্রুত ঘর গোছাতে চাইছে বাংলার কংগ্রেস। সেই লক্ষ্যেই এআইসিসি-র তরফে বাংলার ভারপ্রাপ্ত নেতা গৌরব গগৈয়ের নেতৃত্বে কাল, শুক্রবার বৈঠক বসছে বিধান ভবনে।
বিজেপির বিরোধিতার ডাক দিয়ে দেশের নানা প্রান্তের বিরোধী নেতাদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেড সমাবেশকে সমর্থন জানিয়ে সম্প্রতি বার্তা পাঠিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী এবং ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধী। কিন্তু তাঁদের বার্তা শুধুই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতি সংহতি ছিল বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। গৌরব নিজেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াই চলবে। বিজেপির সাম্প্রদায়িকতার পাশাপাশিই তৃণমূল সরকারের ‘অপশাসনে’র বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় আইন অমান্য কর্মসূচি চালাচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস। আলিপুর ও বালুরঘাটে আইন অমান্য আন্দোলনে পুলিশের লাঠি চালনার প্রতিবাদে আজ, বৃহস্পতিবার ‘কালা দিবসে’রও ডাক দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে লোকসভা ভোটে কোনও জোট হবে না ধরেই এগোতে চাইছে কংগ্রেস। প্রয়োজনে একা লড়তে হলে রাজ্যওয়াড়ি সংগঠনের হালহকিতত বুঝে নিতে চাইছেন গৌরবেরা।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, গৌরব ছাড়াও এআইসিসি-র তিন সহ-পর্যবেক্ষক বি পি সিংহ, মহম্মদ জাভেদ এবং শরৎ রাউত থাকবেন কালকের বৈঠকে। প্রদেশ কংগ্রেসের বর্তমান সব কমিটির পদাধিকারীদের ডাকা হয়েছে। তার পাশাপাশিই ডাক পাচ্ছেন মৌসম বেনজির নূর, বিধায়ক মইনুল হক (এআইসিসি-র সম্পাদক) ও অসিত মিত্র, প্রাক্তন বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় এবং প্রাক্তন সাংসদ আমজাদ আলি। এঁদের মধ্যে কারও দলবদল নিয়ে জল্পনা আছে, কারও এলাকায় কিছুটা প্রভাব আছে। তাই পদাধিকারী ছাড়াও তাঁদের বৈঠকে থাকতে বলা হচ্ছে।
প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘কারও সঙ্গে জোট হবে কি না, হাইকম্যান্ড সেই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু সাংগঠনিক ভাবে ৪২টি আসনের জন্যই আমাদের প্রস্তুতি সেরে ফেলতে হবে। সেই জন্যই সকলকে নিয়ে এমন বৈঠক।’’ কংগ্রেসের প্রথা অনুযায়ী, আসন পিছু তিনটি করে প্রস্তাবিত নাম দিয়ে রাজ্য দলের নির্বাচন কমিটি এআইসিসি-কে পাঠায়। এ বার রাজ্যের নতুন নির্বাচন কমিটিও গঠন হওয়ার কথা। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান অবশ্য প্রদেশ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন, রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার সি পি জোশীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য জয়পুর যাবেন বলে ওই বৈঠকে থাকতে পারবেন না।