বিহারের মানুষ বাংলায় কাজ ও সম্মান পান: সুশীল

হাওড়ায় রবিবার বিজেপির এক সমাবেশে সুশীল বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে ধন্যবাদ! বিহার থেকে অসংখ্য মানুষ এখানে কাজের সন্ধানে আসেন। পশ্চিমবঙ্গে তাঁরা কাজও পান, সম্মানও পান।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:১০
Share:

সুশীল মোদী। ফাইল চিত্র।

এসেছিলেন তৃণমূলকে নিশানা করে সভা করতে। তবে শেষমেশ বাংলায় সহাবস্থানের বাতাবরণের প্রশংসাই করে গেলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল মোদী।

Advertisement

হাওড়ায় রবিবার বিজেপির এক সমাবেশে সুশীল বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে ধন্যবাদ! বিহার থেকে অসংখ্য মানুষ এখানে কাজের সন্ধানে আসেন। পশ্চিমবঙ্গে তাঁরা কাজও পান, সম্মানও পান।’’ তৃণমূলের তরফে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অবশ্য বিজেপিকেই কটাক্ষ ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিহারের মানুষ গুজরাতে কাজ করবেন, এটাই দেশের সার্বভৌমত্ব। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল একে মান্যতা দেয়। বিজেপি সরকার দেয় না।’’

হাওড়ায় এ দিন অবশ্য বাংলার বর্তমান শাসক দলকে নিশানা করেই বক্তৃতা শুরু করেন সুশীল। বলেন, ‘‘এক সময় বলা হত, বাংলা আজ যা ভাবে, বাকি ভারত ভাবে তা পরের দিন। কিন্তু ৩৪ বছরের বাম জমানা এবং বর্তমান তৃণমূল জমানা সেই উজ্জ্বল বাংলার ছবি ম্লান করে দিয়েছে। বাংলার অবস্থা এখন লালুপ্রসাদের জমানার বিহারের মতো।’’ কিন্তু এর পরেই বাংলায় বিহারের মানুষদের কাজের প্রসঙ্গে ঢুকে যান তিনি। ধন্যবাদ জানান বাংলার মানুষকে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি যেখানে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ সভা করে গিয়েছিলেন, সেই জয়নগরের একই মাঠে এ দিন পাল্টা সভা করেছেন ফিরহাদ। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি গণতন্ত্র মানে না, দেশের সংবিধান মানে না। ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে কাজে লাগায়।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, অখিলেশ যাদব থেকে মায়াবতী— সকলের বিরুদ্ধেই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে বিজেপি। তাঁর দাবি, এই বিজেপির মুখে ‘গণতন্ত্রে’র কথা মানায় না।

সুশীল অবশ্য অভিযোগ করেছেন, বাংলায় গণতন্ত্র নেই। পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা থেকে রথযাত্রায় অনুমতি না পাওয়া— প্রতিটি বিষয়েই তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন