Yogi Adityanath

হেলিকপ্টার ছেড়ে সড়ক পথে রাজ্যে ঢুকলেন যোগী, পুরুলিয়ার সভা থেকে মমতাকে তোপ

উত্তরবঙ্গের ঘটনার কথা মাথায় রেখে এ বার আর হেলিকপ্টারে নয়, সড়কপথেই ঝাড়খণ্ড হয়ে পুরুলিয়া আসেন যোগী। এ দিন তিনি বোকারোতে নামেন হেলিকপ্টারে। সেখান থেকে সভায় আসেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:৫৯
Share:

পুরুলিয়ার সভায় যোগী আদিত্যনাথ। ছবি সৌজন্য বিজেপির টুইটার।

এর আগে তাঁর দু’টি সভা বাতিল হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, রাজ্য সরকার হেলিকপ্টার নামার অনুমতি দেয়নি। পরে ফোনের মাধ্যমে সেই সভা সারেন। গত ২ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। ওই দিন উত্তরবঙ্গের বালুরঘাট ও রায়গঞ্জে সভা করার কথা ছিল যোগী আদিত্যনাথের

Advertisement

২ ফেব্রুয়ারির পর আবার ৫ ফেব্রুয়ারি। এ দিন পুরুলিয়ায় সভা ছিল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ সভার অনুমতি পান যোগী। এ দিন সকাল থেকেই যোগীর সভাকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা ছিল। জল্পনা চলছিল, যোদী কি আদৌ সভা করতে পারবেন, না কি উত্তরবঙ্গের মতো এ বারও তাঁকে খালি হাতেই ফিরে যেতে হবে? সভা ঘিরে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল সকাল থেকেই। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে ছাড়পত্র মেলে। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, সভা করার জন্য প্রয়োজনীয় নথি অসম্পূর্ণ ছিল। তবে বিজেপি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

উত্তরবঙ্গের ঘটনার কথা মাথায় রেখে এ বার আর হেলিকপ্টারে নয়, সড়কপথেই ঝাড়খণ্ড হয়ে পুরুলিয়া আসেন যোগী। এ দিন তিনি বোকারোতে নামেন হেলিকপ্টারে। সেখান থেকে সভায় আসেন তিনি। সকালেই যোগী টুইট করে বলেন, “এটা খুব দুঃখের বিষয় যে গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মভূমি, আমাদের বাংলা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অরাজকতার শিকার। এই সরকারের হাত থেকে বাংলাকে মুক্ত করতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করতে হবে।” আর সেই আন্দোলনের সূচনা করতেই পুরুলিয়া আসছেন বলে বলেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: সারদাকর্তার কল রেকর্ডস বিকৃত করেছেন রাজীব কুমার, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা

আরও পড়ুন: কলকাতার ধর্না তুলে মমতার ঘোষণা, এবার ২ দিনের ধর্না দিল্লিতে

এ দিন পুরুলিয়ায় পা রেখেই সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ধারালো আক্রমণ শানান। বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দিন শেষ হয়ে এসেছে। তৃণমূল জমানায় পিছিয়ে পড়েছে বাংলা।”

কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে যে সঙ্ঘাত তৈরি হয়েছে, এ দিন সে প্রসঙ্গও তোলেন যোগী। তাঁর অভিযোগ— এক জন ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ পুলিশ আধিকারিককে বাঁচাচ্ছেন মমতা। এর পরই তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট ওই পুলিশ আধিকারিককে সিবিআইয়ের সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। মমতা যদি সহযোগিতা করতে রাজিই থাকেন, তা হলে কেন ধর্না করছেন?” সব শেষে রাজ্যবাসীর কাছে তাঁর আহ্বান— বাংলাকে দুর্নীতির হাত থেকে মুক্ত করতেই হবে।

যোগীর সভার অনুমতি মিললেও এ দিন সভা করতে পারেননি বিজেপির মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেন। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদে সভা করার কথা ছিল তাঁর। বিজেপির অভিযোগ, সেই সভায় অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। শেষমেশ ওই সভা বাতিল হয়ে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন