সৌমেন্দুর নেতৃত্বে বিরোধী খেদাও!

অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধেও। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা মহকুমাশাসক দফতরের কাছেপিঠে ঘেঁষতে দেননি সংবাদমাধ্যমকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

মনোনয়ন জমার সময় আর বেশি নেই। সোমবার সকাল সকালই তাই কাঁথি মহকুমাশাসকের দফতরে চলে এসেছিলেন সিপিএম ও বিজেপি-র প্রার্থীরা। সঙ্গে কিছু কর্মী-সমর্থকও ছিলেন। কিন্তু শাসকের বাধায় শেষমেশ পিছু হটতে হল তাঁদের। অভিযোগ, কাঁথির পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী দাঁড়িয়ে থেকে ঘাড় ধাক্কা দিলেন বিরোধীদের!

Advertisement

অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধেও। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা মহকুমাশাসক দফতরের কাছেপিঠে ঘেঁষতে দেননি সংবাদমাধ্যমকে। অভিযোগ, এসডিপিও পার্থ ঘোষ নিজে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই গ্রামে গ্রামে বিরোধীদের উপর হামলার অভিযোগ আসতে শুরু করে। পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন ব্লকে মনোনয়ন দিতে না পারার অভিযোগে সরব হন বাম, বিজেপি, কংগ্রেস প্রার্থীরা। শেষে কমিশন মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমার বন্দোবস্ত করায় বিরোধীরা কিছুটা চাঙ্গা হয়। কিছু জায়গায় মনোনয়ন দিতেও সমর্থ হয় তারা।

এ দিন সেই ছবি উধাও। শাসকের ব্যারিকেড ভাঙতে পারেনি বিরোধীরা। কাঁথিতে সৌমেন্দুর নেতৃত্বে ব্যারিকে়ডের অভিযোগ ওঠায় শোরগোল পড়েছে। বিজেপির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক মানস রায়ের অভিযোগ, ‘‘কাঁথির তৃণমূল পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে ছিলেন। তাঁর উপস্থিতিতে শাসকদলের লোক আমাদের প্রার্থীদের উপর হামলা চালায়, মনোনয়ন দিতে দেয়নি। পুলিশও নিষ্ক্রিয়।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির বক্তব্য, ‘‘বিরোধীরা যাতে মনোনয়ন দিতে না পারে, সে জন্য সরকারি দফতরগুলো তৃণমূল দখল করে নেয়। আর কাঁথিতে বাইক বাহিনী নামিয়ে সে কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বয়ং সৌমেন্দু অধিকারী।’’

Advertisement

মহকুমাশাসকের দফতরে হাজির থাকার কথা মানছেন সৌমেন্দুও। তাঁর দাবি, ‘‘প্রার্থীদের মনোনয়নে সাহায্য করতে যাই। বিরোধীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement