শনিবার বোলপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত (কেষ্ট) মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
মনোনয়ন জমা পর্বে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল ‘উন্নয়ন’। ভোটের দিনের বীরভূমের পরিস্থিতিও একই থাকবে। মনোনয়ন প্রত্যাহার পর্বের শেষ দিন, শনিবার বোলপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই ঘোষণা তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত (কেষ্ট) মণ্ডলের। তাঁর কথায়, ‘‘এ বার ভোট দিতে গেলেও মানুষ দেখবেন, রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে রয়েছে।’’ এমন ঘোষণার পরে ভোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বিরোধীরা।
শাসক দলের বীরভূম জেলা সভাপতি নিজেই এ দিন প্রত্যাহার-উত্তর পরিস্থিতিতে জেলায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের পরিসংখ্যান জানান। তাঁর হিসেব, জেলা পরিষদের ৪২টি আসনের প্রতিটিতেই তাঁর দল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী। পঞ্চায়েত সমিতির ৪৬৫টি আসনের মধ্যে ৬০টিতে তৃণমূলকে লড়তে হবে। পঞ্চায়েতে ২,২৪৭টি আসনের মধ্যে ভোট হচ্ছে ১৯৬৭টিতে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘ওরা কাউকে মনোনয়ন জমা দিতেই দেয়নি। আসন পাওয়া না পাওয়া আবার কী?’’ জেলার বিরোধী নেতাদেরও আশঙ্কা, উন্নয়নের নামে ফের তাঁদের আটকানো শুরু হল বলে।
বিনাযুদ্ধে বীরভূম
• জেলা পরিষদের ৪২টি আসনের একটিতেও বিরোধী প্রার্থী নেই
• ১৯টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১৬টি বিনা ভোটে জিতেছে তৃণমূল
• ১৬৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪০টি ভোট ছাড়াই শাসক দলের দখলে
অনুব্রত অবশ্য বলছেন, ‘‘উন্নয়ন মানে তো পাকা ড্রেন, রং করা স্কুল। মানুষ তাই তৃণমূলে ভোটটা দেবে।’’ তাঁর সংযোজন: ‘‘যারা বয়স্ক লোক, ভোট দিতে পারবে না, অন্যদের বলবে, ‘ভোটটা দিয়ে দাও’, তারাই ভোট দিয়ে দেবে। অন্ধ মানুষকে ধরে নিয়ে যাবে। তার হয়ে বোতামটা টিপে দেবে।’’
এ দিন পুলিশ-প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অনুব্রত। বলেছেন, ‘‘পুলিশ সুন্দর কাজ করেছে। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, সমস্ত বিডিও, এসডিও-কে ধন্যবাদ।’’
তবে কেষ্টও ভয় পান। কাকে? নেতার জবাব, ‘‘সিপিএমের অত্যাচার যখন মনে পড়ে যায়, ভয়ে ঘরে ঢুকে যাই। ইদানীং বিজেপি যা ভয় দেখাচ্ছে, খুব ভয় লাগছে রাস্তাঘাটে বেরোতে।’’