পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন নিয়ে শাসক ও বিরোধী শিবির বিভিন্ন এলাকায় পরস্পরের দিকে আঙুল তুলছে। তারই মধ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে থানার দ্বারস্থ হল শিশু সুরক্ষা কমিশন। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কিছু স্কুল পরিদর্শনের পথে কমিশনের গাড়িতে বিজেপির লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী জানান, এ দিন বেলা পৌনে ১টা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাকড়াহাটের কাছে প্রায় ৩৫-৪০ জন লোক কমিশনের গাড়ি ঘিরে দাঁড়ায়। তাদের মাথায় ছিল গেরুয়া ফেট্টি, কপালে তিলক আর হাতে ছিল বিজেপির পতাকা। গাড়িতে ছিলেন কমিশনের সদস্য সৌমিত্র রায়, শাকিলা সুলতানা শামস ও ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী। তাঁরা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ইন্দ্রাণীদেবী জানান, বাওয়ালি থেকে বাকড়াহাটের মোড় পেরোতেই তাঁদের গাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। গাড়িতে টাঙানো কমিশনের বোর্ডও ভাঙার চেষ্টা চলে। বেগতিক বুঝে চালক গা়ড়ি ঘুরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁকে হেনস্থা করা হয়। বাঁশ দিয়ে গাড়ি পিছনে দমাদ্দম পেটানো হতে থাকে। সৌমিত্রবাবু বলেন, ‘‘কোনও রকমে বেঁচে ফিরেছি।’’ কমিশনের অন্যতম সদস্যা সুলতানার কথায়, ‘‘এ রাজ্যে এমনটা ভাবাই যায় না। এই অসহিষ্ণুতার অবসান ঘটুক।’’
হঠাৎ কমিশনের গাড়িতে হামলা কেন, সেই প্রশ্ন ঘিরে জল্পনা চলছে। অনন্যাদেবী জানান, রামনবমীতে শিশুদের হাতে অস্ত্র দিয়ে মিছিল করানোয় বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ শেষ পর্যন্ত মুচলেকা দিতে বাধ্য হয়। তার জেরেই এই আক্রমণ। পুলিশ এই বিষয়ে বিশেষ কিছু বলতে চায়নি। তবে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ-জেলার এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগ এসেছে। তদন্ত চলছে।’’
অভিযুক্ত বিজেপি দায় চাপিয়ে দিতে চাইছে তৃণমূলের ঘাড়ে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিজেপির পশ্চিম মণ্ডলের সভাপতি অভিজিৎ দাস বলেন, ‘‘শাসক দল নানা ধরনের নিন্দনীয় ঘটনা ঘটাচ্ছে। বিজেপির পতাকা হাতে গুন্ডামি করছে।’’