মনোনয়ন তুললাম, এ বার শান্তি দাও, কেঁদে ফেললেন প্রৌঢ়া

বিজেপির দাবি, তৃণমূলের ‘ভালবাসা’ আর ‘উন্নয়ন’-এর জেরে এ দিন সেবারানির মতোই প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বিলাস লক্ষ্মণ ও সঞ্জিত মান্না। তাঁরা খানাকুল-১ ব্লকের বিজেপি প্রার্থী।

Advertisement

পীযূষ নন্দী

খানাকুল শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৮ ০৩:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

সকলেই প্রায় তাঁর ছেলের বয়সি। তাঁদের সামনেই হাতজোড় করে কেঁদে ফেললেন প্রৌঢ়া। বললেন, “তোমাদের কথা মতো মনোনয়ন তুলে নিয়েছি। এ বার শান্তিতে ঘরে থাকতে দাও। স্বামী ছেলেরা যেন কাজকর্ম করতে পারে।”

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুরে খানাকুলে মহকুমাশাসক কার্যালয়ে দাঁড়িয়ে এই কথা বলছিলেন বিজেপি-র জেলা পরিষদ প্রার্থী সেবারানি জানা। এ বার যুবকেরাও কিছুটা অপ্রস্তুত। তাঁদেরই মধ্যে এক জন পাল্টা হাতজোড় করে বললেন, “মা, আমাদের বিধায়ক ইকবালদার (আহমেদ) নির্দেশ, খানাকুলের প্রতিটি মানুষ নিজের বাড়িতে থেকে যেন স্বাধীনভাবে কাজকর্ম করতে পারেন। আমাদের সঙ্গে সিপিএমের এটাই তফাত। ওরা বোমা-বন্দুক নিয়ে মনোনয়ন তোলাতো। আমরা ভালবেসে, উন্নয়নের কথা জানিয়ে আপনাকে অনুরোধ করেছি।”

বিজেপির দাবি, তৃণমূলের ‘ভালবাসা’ আর ‘উন্নয়ন’-এর জেরে এ দিন সেবারানির মতোই প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বিলাস লক্ষ্মণ ও সঞ্জিত মান্না। তাঁরা খানাকুল-১ ব্লকের বিজেপি প্রার্থী। মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিনেও হেনস্থা করা হয়েছিল বিলাসবাবুকে। মার খেয়েছিলেন তাঁর প্রস্তাবক। তবু জমা হয়েছিল মনোনয়ন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। বিজেপির জেলা সম্পাদক ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, “সন্ত্রাসের দাপটে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা ছাড়া আর পথ নেই আমাদের প্রার্থীদের।’’ তাঁর অভিযোগ, বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর, খুন, আগুন লাগানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পুলিশও পাশে থাকছে না। তিনি বলেন, ‘‘থানায় খবর দেওয়া হলে সিভিক ভলান্টিয়ার পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা এসে প্রার্থী ও তাঁর পরিবারকে মনোনয়ন পত্র তুলে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।’’ পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ভোটের মাসেই বাবা হব, ডিউটি কী ভাবে

অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলও। এলাকার তৃণমূল বিধায়ক ইকবাল আহমেদ বলেন, ‘‘এ সব কিছুই হয়নি। বিজেপি নিজেই প্রার্থী দিতে পারছে না।’’ এ দিন মহকুমাশাসকের দফতরে দাঁড়িয়ে খানাকুলের তৃণমূলের যুব নেতা নইমুল হক ওরফে রাঙা বলেন, ‘‘আজ তিন বিজেপি প্রার্থী মনোনয়ন তুলে নিলেন। এ নিয়ে খানাকুল-১ ও ২ ব্লকে ৬জন বিজেপি প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন। এ বার সিপিএমকেও একইভাবে অনুরোধ করা হবে প্রার্থী তুলে নেওয়ার জন্য।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন