State News

কাউন্টডাউন শুরু, পঞ্চায়েত নিয়ে চূড়ান্ত রায় কাল বিকেল সাড়ে ৪টেয়

মনোনয়ন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে যাবতীয় বিতর্কে সরকারের ভূমিকা নিয়ে এ দিন প্রশ্ন তোলে আদালত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৮ ১৪:০৭
Share:

বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সরকারের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার।

পঞ্চায়েত মামলায় শুনানি শেষ। আগামিকাল, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় এই মামলায় রায়দান করবে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। সেই সঙ্গে আরও এক দিন বাড়ল পঞ্চায়েত নির্বাচনী প্রক্রিয়ার জারি হওয়া স্থগিতাদেশের মেয়াদ। আদালত জানিয়েছে, রায়দান পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ চলবে। এই রায়ের উপরে নির্ভর করছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভবিষ্যৎ।

Advertisement

এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাসে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। মনোনয়ন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে যাবতীয় বিতর্কে সরকারের ভূমিকা নিয়ে এ দিন প্রশ্ন তোলে আদালত। মনোনয়নের দিন বাড়ানোর জন্য কী ভাবে কমিশনকে পরামর্শ দিতে পারে রাজ্য সরকার— তা নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি তালুকদার। তার জবাব দিতে উঠে রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, “বর্ষার সময় ভোট করানো যাবে না বলেই কমিশনকে এই পরামর্শ দিয়েছিল সরকার।” তাঁর মতে, “সঠিক সময়ে ভোট না হলে রাজ্যের উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে যাবে।”

কমিশনের দাবি ছিল, “নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না।” পাল্টা সওয়াল করতে উঠে কমিশনের এই দাবিকে খণ্ডন করে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “প্রয়োজনে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্থক্ষেপ করতে পারে আদালত।” তিনি আরও বলেন, “২০১৩ সালেই নির্বাচনের দিন পরিবর্তন করা হয়েছিল।” বিকাশবাবুর কথায় সায় দিয়েই বিজেপি-র তরফে প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রয়োজনে কলকাতায় মনোনয়নের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

Advertisement

আরও পড়ুন
আয়ু ফুরোলে তাকে বাঁচানো অসম্ভব, পঞ্চায়েত নিয়ে কোর্টে সওয়াল তৃণমূলের

এ দিনের শুনানির পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমাদের কথা বিচারপতির কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। রায় কার পক্ষে যাবে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষের অংশগ্রহণ কী ভাবে নিশ্চিত যাতে করা যায় তা নিয়ে বিচারপতি নিশ্চয়ই ভাববেন।”

বিজ্ঞপ্তি বিতর্কে নির্বাচন কমিশনকে অবয়বহীন, নখদন্তহীন বলে মন্তব্য করেন অধীর। তাঁর অভিযোগ, “শাসক দলের চাপে পড়েই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনকে বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছে সরকার। ফলে কমিশন তার স্বতন্ত্রতা হারিয়েছে। কমিশনের উপরে আমাদের ভরসা নেই। নির্বাচনে যাতে সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারেন সে জন্য আদালতের নজরদারিতে নির্বাচনের অনুরোধ করেছি।”

ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের মেয়াদ ফুরোবে চলতি বছরের অগস্টে। এর আগে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করাটাই লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। তবে আইনি লড়াইয়ে তা এখনও অনিশ্চিত। এ দিন মামলার শুনানি শেষ হওয়ায় অবশেষে সমাধানসূত্র মিলবে বলেই আশা। যদিও আগামী ১ মে পঞ্চায়েত নির্বাচন শুরু করা অসম্ভব বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন