West Bengal Panchayat Elections 2018 Panchayat Poll Nomination TMC

পঞ্চায়েত ভোটে হস্তক্ষেপ নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

মনোনয়ন ও প্রচারের সময় বাড়ানো, অনলাইনে মনোনয়ন জমা এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটের দাবি তুলে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিল বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ১০:৪৩
Share:

পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্যের বিরোধী শিবিরকে হতাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে রাজ্যের শাসক দলকে স্বস্তি দিয়ে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, পঞ্চায়েত ভোটে তারা কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। এই রায় স্বস্তির হল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষেও। সুপ্রিম কোর্ট হাত তুলে নেওয়ার ফলে, নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার ব্যাপারে কমিশনই শেষ কথা বলবে।

Advertisement

মনোনয়ন ও প্রচারের সময় বাড়ানো, অনলাইনে মনোনয়ন জমা এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটের দাবি তুলে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিল বিজেপি। মামলার শুনানিতেই কেন্দ্র জানিয়েছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনীতে তাদের আপত্তি না থাকার কথা। তার পরই বিজেপি শিবির আশাপ্রকাশ করে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা অন্তত দিন কয়েক বাড়িয়ে দেবে সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু, বিজেপির সেই আশায় বড়সড় ধাক্কা লাগল সোমবারের রায়ের ফলে। এ দিন রায় ঘোষণার সময় বিচারপতি আর কে অগ্রবাল ও বিচারপতি অভয় মনোহর সাপ্রের বেঞ্চে বলে, ‘‘সর্বোচ্চ আদালত পঞ্চায়েত ভোটে হস্তক্ষেপ করবে না। তবে প্রার্থীরা যে কোনও প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনে যেতে পারেন।’’

স্বাভাবিক ভাবেই সুপ্রিম কোর্টের রায়কে নিজেদের সাফল্য হিসেবেই দেখছে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘এ দিনের রায় প্রমাণ করে দিল রাজ্য প্রশাসন ঠিক পথেই চলছে। বিজেপি যে সব দাবি করেছিল তা সবই খারিজ হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ বিজেপি শূন্য পেয়েছে। আর একের পর এক ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছে রাজ্য।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: সুপ্রিম রায়ে উদ্দীপ্ত শাসক, শেষ দিনেও মারের মুখে বিরোধীরা

এ দিকে, আজই পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার নির্ধারিত শেষ দিন। এ দিন সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কড়া নিরাপত্তায় শুরু হয়েছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া।

মনোনয়ন জমা শুরু হতেই ছোটখাটো গোলমালের খবর আসতে শুরু করে। শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবিও জানানো হয়। হিসেব অনুযায়ী, শেষ দিনে অন্তত পঁচিশ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে প্রার্থী দিতে হবে বিরোধীদের। যা অসম্ভব বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: ইস্তাহারে সংশয়, বিরোধীদের সুর গণতন্ত্র ফেরানোই

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন