সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে আক্রান্ত কর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আজ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করল তৃণমূলের আট জন সাংসদের একটি দল। গোটা ঘটনায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির হাত রয়েছে এই অভিযোগে একটি স্মারকলিপিও তুলে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতির হাতে। পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের অফিসেও তা জমা দেয় তৃণমূল। সংসদীয় দলটির নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘তৃণমূলের পাঁচজন কর্মীকে কী ভাবে হত্যা করা হয়েছে তা আমরা সবিস্তার জানিয়েছি। নিহতদের স্বজনরাও সুযোগ পেয়েছেন নিজেদের পরিস্থিতি খুলে বলার। রাষ্ট্রপতি চান ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কিছু করা হোক।’’
সুদীপবাবুর কথায়, ‘‘বিজেপি এবং সিপিএম হিংসা চালাচ্ছে। তৃণমূল যে ভাবে উন্নয়নের বাতাবারণ তৈরি করেছে তাকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য হিংসার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।’’
কয়েক দিন আগেই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানেও তাঁরা গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের
হাতে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের হাজির করেছিলেন। সেই সঙ্গে রাজ্যে নির্বাচন ঘিরে ভয়াবহ সন্ত্রাস চলছে বলে রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছিলেন। সেই বক্তব্যের বিরোধিতা করেই এ দিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের ওই দল রাষ্ট্রপতি ভবনে হাজির হন। তাঁদের দেওয়া স্মারকলিপিতে গোটা রাজ্যের পরিস্থিতি বর্ণনা করেছেন। তাঁরা সেখানে দাবি করেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে হাতিয়ার করে গোটা দেশে একটা ভুল বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সে জন্য পরিকল্পিত ভাবে কিছু গুজব বাইরে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দু’লক্ষ মনোনয়ন জমা হয়েছে, তার মধ্যে ৯৬ হাজার বিরোধীদের। এ ছাড়া তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার আগে রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা চরম জায়গায় ছিল বলে তাঁরা দাবি করেন। সে সংক্রান্ত একটি তথ্যও তুলে ধরা হয়।