Rampurhat

Rampurhat clash: রাতারাতি গ্রাম ছাড়ল ভাদুর পরিবার

কেবল ভাদুর পরিবারই নয়, সন্ধে নামতেই গ্রামের অনেককেই তালাবন্ধ করে অন্যত্র চলে যেতে দেখা যায়।

Advertisement

তন্ময় দত্ত 

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২২ ০৭:৪০
Share:

অন্য গন্তব্যে। বগটুইয়ে। নিজস্ব চিত্র।

ছোট থেকে এই গ্রামেই বড় হয়েছিলেন। পরে রাজনৈতিক নেতা হওয়ার সুবাদে এই গ্রামেই প্রতিপত্তি হয় ভাদু শেখের। সোমবার রাতে রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে সেই তৃণমূল উপপ্রধান ভাদুই বোমার আঘাতে খুন হন। মঙ্গলবার রাতে দেখা গেল, গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছে ভাদু শেখের পরিবার।

Advertisement

ভাদুর বাবা মারফত হোসেনের ছয় ছেলে। এক ছেলে বাইরে থাকেন। বাকিরা বগটুই গ্রামে এক সঙ্গেই থাকতেন। বছরখানেক আগে ভাদুর দাদা বাবর শেখ খুন হন। সোমবার রাতে ভাদুর খুন হওয়া ও মঙ্গলবার গ্রাম থেকে ৭টি দেহ উদ্ধারের পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবার। পরিবারের দাবি, গ্রামের রাজনৈতিক উত্তেজনায় ও শত্রু বেড়ে যাওয়ায় তরতাজা দুই ছেলেকে হারিয়েছে পরিবার। দুই ভাইকে নৃশংস ভাবে দুষ্কৃতীরা খুন করল। চার ছেলের জীবন বাঁচাতে মঙ্গলবার সন্ধেয় ভাদু শেখের বাবা মারফত হোসেন তিন ছেলে-সহ পরিবারের ১৬ জনকে নিয়ে গ্রাম ছাড়েন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেখা যায়, সংসারের প্রয়োজনীয় সামগ্রী যন্ত্র চালিত ভ্যানে চাপিয়ে গ্রাম ছাড়ছেন তাঁরা। বছর আটষট্টির মারফত বলেন, ‘‘এক ছেলে গ্রামের বাইরে থাকেন। তাঁকেও বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। আর কোনও ছেলেকে এই ভাবে মরতে দেব না। দুই ছেলেকে দুষ্কৃতীরা যে ভাবে খুন করল, গ্রামে যে উত্তেজনার ছবি দেখলাম তাতে গ্রামে থাকার সাহস পরিবারের নেই।’’

মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই থমথমে পরিবেশ গ্রামে। পুলিশ ছাড়া কোনও পুরুষ সদস্য নেই বললেই চলে। ভাদু শেখের এক দাদা নূর আলি বলেন, ‘‘দুই ভাইয়ের এ ভাবে মৃত্যু হবে ভাবিনি। এক বছর আগে বাবরকে খুন করা হয়। মঙ্গলবার ভাদুকেও খুন করল দুষ্কৃতীরা। ওদের ছেলে মেয়েরা অল্প বয়সে বাবাকে হারালো। এ ভাবে আর মরতে চাই না। তাই বাধ্য হয়ে গ্রাম ছাড়ছি। পরিবার নিয়ে অন্যত্র যাব।’’

Advertisement

কেবল ভাদুর পরিবারই নয়, সন্ধে নামতেই গ্রামের অনেককেই তালাবন্ধ করে অন্যত্র চলে যেতে দেখা যায়। গ্রামের বাসিন্দা, এক মহিলা আক্তারি বেওয়া বলেন, ‘‘স্বামীর কয়েক বছর আগে মৃত্যু হয়েছে। ছেলে মেয়েকে নিয়ে কষ্টের সংসার। রাতের অন্ধকারে গ্রামে দাউ দাউ করে কয়েকজনের বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখছি। ভয়ে তাই কয়েকদিনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে চলে যাচ্ছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement