ভাঙড়-কাণ্ডে দুষ্কৃতীদের ছোড়া দেশি বন্দুকের গুলিতে স্থানীয় যুবক মফিজুল খান মারা যান বলে কলকাতা হাইকোর্টে দাবি করল রাজ্য।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর এজলাসে সরকারি কৌঁসুলি শুভব্রত দত্তের দাবি, ময়না-তদন্তের সময় মফিজুলের দেহ থেকে যে গুলি উদ্ধার হয়, তা দেশি বন্দুকের বলে ব্যালিস্টিক পরীক্ষায় জানা গিয়েছে। যদিও বিচারপতি বাগচী রাজ্যকে জানান, সংঘর্ষের পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ যে সব জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছিল, তার মধ্যে দেশি বন্দুকের গুলির খোল রয়েছে কিনা, আদালতের তা জানা দরকার। সেই কারণে তিনি দু’সপ্তাহ পরে, পরবর্তী শুনানির দিন মামলার কেস ডায়েরি আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন সিআইডি-কে। পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনের জেরে গত ১৭ জানুয়ারি তেতে উঠেছিল ভাঙড়। গুলিতে প্রাণ যান মফিজুল খান এবং আলমগির মোল্লা নামে স্থানীয় দুই যুবকের। তাঁর ছেলে পুলিশের ছোড়া গুলিতে নিহত হয় বলে আদালতে অভিযোগ করেন মফিজুলের বাবা সুকুর আলি। মফিজুলের দাদা এনতাজুল আলির অভিযোগ, পুলিশ নিজেদের খেয়ালখুশি মতো তাঁকে দিয়ে এফআইআর দায়ের করিয়ে তদন্ত শুরু করে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ও ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মফিজুলের পরিবার।