Mukul Roy

বিশ্ব বাংলা: মুকুলকে আইনি চিঠি পাঠালেন অভিষেক

বিশ্ব বাংলা লোগো বির্তকে মুকুল রায়কে আইনি নোটিস পাঠালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধায়। সোমবার তৃণমূল সাংসদ দাবি করেছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে হবে মুকুলকে। তা না তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৭ ১৭:৪০
Share:

এ বার আদালতে ‘বিশ্ব বাংলা’।

Advertisement

বিশ্ব বাংলা লোগো বির্তকে মুকুল রায়কে আইনি নোটিস পাঠালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধায়। সোমবার তৃণমূল সাংসদ দাবি করেছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে হবে মুকুলকে। তা না তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা করা হবে।

সম্প্রতি বিজেপির সভা থেকে মুকুল রায় দাবি করেন, বিশ্ব বাংলা কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। এটি একটি বেসরকারি কোম্পানি। যার মালিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিকানা ৩০বি, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট। যা কিনা মুখ্যমন্ত্রীরই বাড়ির ঠিকানা। স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্ব বাংলা লোগো বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে তৃণমূল।

Advertisement

পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত আসরে নামানো হয় রাজ্যের দুই আমলাকে। নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের সচিব রাজীব সিংহ দাবি করেন, মিথ্যা কথা বলছেন মুকুল রায়। ওই ব্র্যান্ড ও লোগো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নামেই নথিভুক্ত রয়েছে বলেও দাবি করেন অত্রিবাবু।

অভিষেকের পাঠানো সেই আইনি নোটিস। নিজস্ব চিত্র।

কিন্তু, এর পর এই বিতর্কে সুর আরও চড়ান তৃণমূল থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়। নবান্নে দুই আমলার কাছে চিঠি পাঠান তিনি। তাতে অভিযোগ করেন, সরকার বিষয়টি নিয়ে রাজ্যবাসীকে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। মুকুলবাবুর দাবি, ওই লোগোর প্রকৃত মালিক কে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তা হলে ওই দুই আমলা কী ভাবে ওই লোগোকে সরকারের সম্পত্তি বলে দাবি করতে পারেন?

আরও পড়ুন: বিশ্ববাংলার জন্য লড়াইয়ে নবান্ন, তৈরি মুকুলও

আরও পড়ুন: বিশ্ব বাংলা: ২ আমলাকে তির মুকুলের

মুকুলবাবুর দ্বিতীয় অভিযোগ, লোগোর মালিকানা নিয়ে বিতর্ক চলছে জেনেও ওই দুই আমলা বিষয়টি চেপে গিয়ে মানুষকে ভুল তথ্য দিয়েছেন। এর পরেই স্বরাষ্ট্র সচিবকে মুকুল রায় স্মরণ করিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তা হিসেবে কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে কথা বলাটা আইনসঙ্গত নয়।

মুকুলবাবুর দাবি, আমলা হয়ে এ ভাবে শাসক দলের হয়ে মুখ খুলে ওই দু’জন ‘সার্ভিস রুল’ ভেঙেছেন। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহের কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন মুকুলবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন