সভার পরে হামলা, অস্বীকার তৃণমূলের

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকা, হুগলি এবং বাঁকুড়ার কিছু অংশে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনেছে বিজেপি। তাদের কার্যালয় ভাঙচুর, নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠে‌ছে। সংশ্লিষ্ট জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৮ ০৫:১৫
Share:

ফলতার দিঘিরপাড় মোড়ে বিজেপি কর্মীদের রাস্তা অবরোধ। নিজস্ব চিত্র

দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভার পরে জেলায় জেলায় তাদের উপরে শাসক দল হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করল বিজেপি। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল অবশ্য পাল্টা বলল, ‘হাওয়া গরম’ করার জন্যই বিজেপি এমন কথা বলছে। আর বিজেপির তরফে দলের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর হুঁশিয়ারি, ‘‘প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হবেন। তখন পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে!’’

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকা, হুগলি এবং বাঁকুড়ার কিছু অংশে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনেছে বিজেপি। তাদের কার্যালয় ভাঙচুর, নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠে‌ছে। সংশ্লিষ্ট জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন, যেখানে অভিযোগ এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও বিজেপি পুলিশের ভূমিকায় খুশি নয়। আর তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের আগেও বিজেপি নানা অভিযোগ করেছিল। ভোটে দেখা গেল, সাংগঠনিক ক্ষমতা না থাকায় তারা দাঁড়াতে পারেনি। এখনও ফের অর্থহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।’’

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে বিজেপির জেলা সাংগঠনিক দফতরে রবিবার দুপুরে ভাঙচুর করে তৃণমূলের পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার সময়ে ওই কার্যালয়ে ছিলেন কোষাধ্যক্ষ পীযূষ গোস্বামী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘চেঁচামেচি শুনে বাইরে বেরিয়ে দেখি, তৃণমূলের পতাকা হাতে রড-বাঁশ নিয়ে জনাচল্লিশেক লোক ইট-পাটকেল ছুড়ছে। ভয়ে দরজা বন্ধ করে দিই। এক তলার অন্য ঘরগুলোয় ওরা ভাঙচুর করে।’’ তৃণমূল নেতা এবং রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা অবশ্য বলেছেন, ‘‘শনিবার থেকে কলকাতায় আছি। তবে ওদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’ বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুকোমলকান্তি দাসের বক্তব্য, ‘‘কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পুলিশ টহল দিচ্ছে।’’

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শনিবার রাত থেকে নোদাখালি, ফলতা, ডায়মন্ড হারবার থানা এলাকায় দফায় দফায় বিজেপির উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। সুন্দরবন জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রাতে বিজেপির জেলা সম্পাদক শর্মিলা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর স্বামী সৈকত মুখোপাধ্যায়কে পিস্তলের বাঁট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মশাটে বিজেপি কর্মী গোষ্ঠ নস্কর এবং ফলতায় দলের মণ্ডল সভাপতি সুভাষ মারিকের বাড়িতে বোমা মারা হয় বলে অভিযোগ। বজবজ, বাওয়ালী বড়পোল, সাতগাছিয়াতেও বিজেপির কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ এসেছে। তৃণমূলের জেলা নেতা শক্তি মণ্ডল অবশ্য তাঁদের দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

হুগলির খানাকুলে বিজেপি কর্মী রাজকুমার ঘোড়ুইয়ের অভিযোগ, শনিবার শাহের সভা থেকে ফেরার পরে তাঁর বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তবে এফআইআরে তৃণমূলের কারও নাম তিনি লেখেননি বলেই খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন