BJP

BJP: হারের পিছনে অন্তর্ঘাতও দেখছেন পদ্ম-প্রার্থীরা

অনেক প্রার্থীই অভিযোগ করেন যে প্রচার থেকে শুরু করে বুথে পোলিং এজেন্ট দেওয়া, যথেষ্ট লোকবলের অভাবে সব ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাঁদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

সাংগঠনিক দুর্বলতা, অন্তর্ঘাত এবং শাসক তৃণমূলের সন্ত্রাস— এই তিনটি কারণেই কলকাতা পুরভোটে দলের পরাজয় হয়েছে, এমন চর্চাই উঠে এল বিজেপির পর্যালোচনা বৈঠকে। তৃণমূল অবশ্য বরাবরই তাদের বিরুদ্ধে বিজেপির তোলা সন্ত্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

Advertisement

কলকাতা পুরভোটে তিনটি আসন পেয়েছে বিজেপি। এই বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থীদের নিয়ে রবিবার হেস্টিংস কার্যালয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রের খবর, সেখানে অনেক প্রার্থীই অভিযোগ করেন, তাঁদের এলাকায় দলের সংগঠন খুব দুর্বল। ফলে প্রচার থেকে শুরু করে বুথে পোলিং এজেন্ট দেওয়া, যথেষ্ট লোকবলের অভাবে সব ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাঁদের। বৈঠকে কয়েক জন প্রার্থী অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তোলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, দলের যাঁরা টিকিট পাননি, তাঁদের অনেকে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজেদের প্রার্থীকে হারাতে সক্রিয় ছিলেন। পাশাপাশি, তৃণমূলের সন্ত্রাসের জন্য অনেক দলীয় কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন বলেও কিছু প্রার্থী এ দিনের বৈঠকে অভিযোগ করেছেন। তাঁদের আরও বক্তব্য, ভোটারদের একাংশও তৃণমূলের ভয়ে বিজেপিকে সমর্থন করতে পারেনি।

বিজেপি সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালবীয়, রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল, দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভানেত্রী সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরী প্রমুখ ছিলেন। বৈঠকের পরে ৯০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মৌসুমী ভট্টাচার্য বলেন, “ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসের মধ্যে ভোট লড়েছি। ওই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়ার মতো যথেষ্ট কর্মীও আমার সঙ্গে ছিলেন না। চার-পাঁচ জন লোক নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্ব খুব সাহায্য করলেও মণ্ডল স্তরের অনেকে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছেন।” ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী অনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, “কোথাও কোথাও বিজেপির সঙ্গে বিজেপিরই লড়াই হয়েছে। যাঁরা টিকিট পাননি, তাঁদের অনেকে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।” ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী রাজীব সাহার বক্তব্য, “২ মে-র পর থেকে সারা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের সন্ত্রাসের ফলে সাধারণ মানুষের মতো আমাদের কর্মীরাও ভীত। তাই ভোটে কাজ করতে অসুবিধা হয়েছে।”

Advertisement

সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কলকাতায় আমাদের বিধানসভা ভোটের ফলাফলই প্রমাণ করছে, এখানে আমরা সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল। এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই। তবে এটা আমরা সংশোধন করব।” আর অন্তর্ঘাতের অভিযোগ নিয়ে সুকান্তের মন্তব্য, “যাঁরা এ ধরনের কাজ করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে।” সুকান্ত আরও জানান, এ দিনের বৈঠকে প্রার্থীদের কাছ থেকে তাঁরা সন্ত্রাসের অভিজ্ঞতা শুনেছেন, যাতে ভবিষ্যতে তা প্রতিরোধ করা যায়।

বিজেপি সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুকান্ত পরে বলেন, “রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার জন্য এখানে কেন্দ্রের সব প্রকল্প সমান ভাবে চালু নয়। এটা একটা সমস্যা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন