বিধানসভা ভোটই পাখির চোখ, বোঝালেন নির্মলা

পাখির চোখ বিধানসভা নির্বাচন। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষকে সংগঠিত করতে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিলেন কেন্দ্রীয় শিল্পবাণিজ্য মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বুধবার খড়্গপুরের মালঞ্চয় কমিউনিটি হলে বিজেপি-র মহাসম্পর্ক অভিযানের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৫ ০০:৪৬
Share:

খড়্গপুরে মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন

পাখির চোখ বিধানসভা নির্বাচন। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষকে সংগঠিত করতে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিলেন কেন্দ্রীয় শিল্পবাণিজ্য মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বুধবার খড়্গপুরের মালঞ্চয় কমিউনিটি হলে বিজেপি-র মহাসম্পর্ক অভিযানের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন তিনি। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রামের সাংগঠনিক জেলা নিয়ে আয়োজিত এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ, সহ-সভাপতি সুভাষ সরকার, সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ, পাঁচটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি, মোর্চা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন সেলের আহ্বায়ক ও মণ্ডল সভাপতিরা। বছর ঘুরলেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। গত পুরভোটে রাজ্যের নানা জায়গায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মুখ পুড়েছে গেরুয়া শিবিরের। এ বার সেই ভুল শোধরাতে আগে থেকেই তৎপর দলীয় নেতৃত্ব। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের শাখা সংগঠনগুলিকে শক্তিশালী করতেই মহাসম্পর্ক অভিযানে নেমেছে বিজেপি। এই অভিযানে চলছে দলের সদস্য সংগ্রহ প্রক্রিয়াও। বিজেপি-র এক সূত্রে খবর, শুধুমাত্র সদস্য সংগ্রহ করে মজবুত সংগঠন গড়ে তোলা যাবে না। কর্মীদের চাঙ্গা করা বেশি প্রয়োজন।
বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সামনে দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, “সদস্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া, শিক্ষণ শিবিরকে দ্রুততর করার উদ্দেশে পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি করতেই আজকের এই বৈঠক। বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সাতদফায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৈঠকের কর্মসূচি চলছে।’’ বিজেপি সূত্রে খবর, আজ, বৃহস্পতিবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরেও একটি বৈঠকে যোগ দেবেন নির্মলা। তারপরে উত্তরবঙ্গেও যাবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নির্মলা সীতারামন বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। মিথ্যা মামলায় আমাদের কর্মীদের জেলায় ঢোকানো হচ্ছে। আসলে ওরা আমাদের ভয় পেয়েছে।” তাঁর সংযোজন, “ভোটের দিন যত এগিয়ে আসবে তৃণমূলের অত্যাচার আরও বাড়বে। আপনাদের ভয় পেলে চলবে না। এলাকায় থেকে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে হবে। অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামতে হবে।” এ দিন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপির কোন নেতা নেতা কখন কী বলেন ঠিক নেই। রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মানুষের উন্নয়নই অগ্রাধিকার। ওরা কী বলছে তা নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না।’’

Advertisement

এ দিন রাহুল সিংহ অভিযোগ করেন, ‘‘রাজ্যে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। স্কুল বা কলেজ ছাত্র খুন হলেও খুনি অধরা থাকছে। আর যারা খুন করেনি তাদের খুনি বানানোর প্রক্রিয়া চলছে। সব কিছুই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চলছে।’’ রাহুলবাবুর কটাক্ষ, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘রাজ্যে নারীদের সম্মান নেই। নেই পুলিশের নিরাপত্তাও।” ১-৫ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন জেলার কর্মশালায় দলের নেতা-কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কর্মশালায় প্রশিক্ষিতরা বিভিন্ন মণ্ডলের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন