Bijoya Sammilani

‘বাঙালিয়ানা’র মোড়কে বিজেপি-র বিজয়া, মেনুতে ঘুগনি-নাড়ু-ছাঁচ সন্দেশ

বিজেপির সাংস্কৃতিক সেলের তরফে ওই সম্মিলনীর আয়োজন করা হলেও আমন্ত্রণ গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি স্বয়ং দিলীপ ঘোষের নামেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২০ ২০:২২
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

‘বহিরাগত এবং অবাঙালি’ তত্ত্বকে সামনে রেখে তৃণমূল যে ভাবে লাগাতার আক্রমণ করছে বিজেপিকে, তার প্রত্যুত্তর হিসেবে বিজেপি তাদের রবিবারের বিজয়া সম্মিলনীকে ‘আদ্যন্ত বাঙালিয়ানা’র মোড়কে মুড়ে ফেলতে চাইছে। ওই সম্মেলনে থাকবেন রাজ্য বিজেপির সব নেতা এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ। সল্টলেকের পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বিজেপির সাংস্কৃতিক সেলের তরফে ওই সম্মিলনীর আয়োজন করা হলেও আমন্ত্রণ গিয়েছে সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি স্বয়ং দিলীপ ঘোষের নামেই।

Advertisement

‘বাঙালি-অবাঙালি’ বিভাজনের আবহে অনুষ্ঠানটিকে পুরো ‘বাঙালিআনা’র মোড়কে মুড়ে ফেলতে খাবারের মেনুতেও সেই সচেতন প্রয়াসের ছবি স্পষ্ট। বিজয়ায় বাঙালি বাড়িতে সাধারণত যা দিয়ে অভ্যাগতদের আপ্যায়ন করা হয়, সেই ঘুগনি, নাড়ু, ছাঁচের সন্দেশের মতো খাবার থাকছে। সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হওয়ার কথা। যেখানে রূপঙ্কর বাগচি-সহ বেশ কিছু পরিচিত শিল্পী থাকছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই তৃণমূলের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘যারা বাংলার সংস্কৃতি বোঝে না, বাংলার মানুষকে বোঝে না, তাদের বাংলার মানুষের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছে বিজেপি। উত্তর ও পশ্চিম ভারতীয়রা যেমন নেতাজিকে মেনে নিতে পারেনি, তেমন বিজেপিও মমতাকে মেনে নিতে পারছে না।’’ এর বিরুদ্ধে শনিবার সরব হন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে যেসব লোক পরিযায়ী হয়ে বাইরে যায়, তাদের কি বহিরাগত বলা হয়? তারা ফিরে এলে কি চাকরি দিতে পারবে বর্তমান সরকার? পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে।’’ বিজেপির সাংস্কৃতিক সেলের তরফে যিনি এই কর্মসূচির আয়োজন করেছেন, সেই সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘আমরা দুর্গাপুজো করেছিলাম ওখানে (পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে)। পুজোর উদ্বোধনও করেছিলাম ওখানে। সেখানেই বিজয়া সম্মিলনী করছি। তৃণমূল কী বলছে না বলছে, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।’’

তবে সুমন যা-ই বলুন, দুর্গাপুজোর এত দিন পর এবং কালীপুজো-ভাইফোঁটাও মিটে যাওয়ার পরে এই ‘বিজয়া সম্মিলনী’ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির কারবারিরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজ্যে টিকা পরীক্ষা হবে ডিসেম্বরেই

আরও পড়ুন: দু’এক দিনেই মেঘ কেটে শীত-শীত আমেজ ফিরে আসবে হাওয়ায়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন