নির্বাচনী প্রচারে আজ, মঙ্গলবার দুপুরে ইসলামপুরের বাসস্ট্যান্ডে সভা করার কথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। তাই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে ইসলামপুরে।
উপনির্বাচন ঘিরে ইসলামপুর শহরের তৃণমূলের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। সোমবার দলের প্রার্থী আব্দুল করিম চৌধুরীর হয়ে প্রচার চলেছে ইসলামপুরের আগ ডিমঠি খুন্তি এলাকায়। সেখানে ছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি অমল আচার্য, কানাইয়ালাল আগরওয়াল-সহ এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। হাতে আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। তাই প্রচার সভা চলছে এলাকায়।
লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার জন্যই ইসলামপুরে আসনটি ছাড়তে হয় ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালালকে। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার পরে ইসলামপুরের প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে স্থানীয় জল্পনা ছিল এলাকায়। সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে ইসলামপুরের তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয় দল ছেড়ে যাওয়া করিম চৌধুরীর নাম। করিম-ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, এবার তাঁকে প্রার্থী করতে ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু। শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর হয়ে প্রচার আসছেন সেই শুভেন্দু। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস থেকে জয়ী হওয়ার পর কানাইয়ালাল তৃণমূলে যোগ দেন। যদিও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকে কানাইয়া ও করিমের মধ্যে কোন্দল বেধেছিল। তার জেরে দলই ছেড়ে দেন করিম। এবার সেই করিমকে প্রার্থী করার পর করিমের ছায়াসঙ্গী হিসেবে কাজ করছেন খোদ কানাইয়ালালই।
তৃণমূলের দাবি, ইসলামপুরে তাদের জয় সুনিশ্চিত। যদিও বিজেপির দাবি, দাড়িভিট-কাণ্ডের পর শুভেন্দুর সভায় গন্ডগোল হয়েছিল ইসলামপুর শহরে। এবার বড় ধরনের গন্ডগোল হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘এর আগে শুভেন্দুর সভা ঘিরে এলাকায় ব্যাপক গন্ডগোল হয়েছিল। দোকানে ঢিল পড়েছিল তৃণমূলের মিছিল থেকে। এবারও ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত রয়েছেন।’’ যদিও ওই ঘটনার পুরোটাই বিজেপির ‘চক্রান্ত’ বলে দাবি তৃণমূলের। তৃণমূলের ইসলামপুর ব্লক সভাপতি জাকির হুসেন বলেন, ‘‘পুরোটাই বিজেপির চক্রান্ত। এর আগেও আমাদের লোকজন কোনও গন্ডগোল করেনি। বিজেপি যাতে কোনো চক্রান্ত না করতে পারে সে-ব্যাপারে মানুষ আরও সচেতন থাকবে।’’