দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।
প্রায় ২০ ঘণ্টা বঙ্গে কাটিয়ে বিহারে উড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতীয় সেনার যৌথ বাহিনীর সম্মেলনের উদ্বোধন করতে রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতা পৌঁছন মোদী। সম্মেলনের উদ্বোধন করে সোমবার দুপুরে বিহারের উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুষ্ঠান উপলক্ষে এসে কলকাতা সফরকে ‘অরাজনৈতিক’ই রাখলেন মোদী। তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সূত্রের খবর, তাঁদের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং প্রাথমিক সম্ভাষণই হয়েছে মোদীর। সূত্রের খবর, রাজনৈতিক সভা করতে কালী পুজোর পর ফের রাজ্যে আসতে পারেন মোদী।
মোদী যে দিন কলকাতাকে বিদায় জানালেন, সেই দিনই দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা হয়েছে শুভেন্দুর। সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করলেও সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে দু’জনের মধ্যে। বিরোধী দলনেতা দুর্গাপুজোয় শাহকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, মহালয়ার পরে কলকাতায় আসতে পারেন শাহ। একাধিক দুর্গা পুজোর উদ্বোধনে দেখা যেতে পারে তাঁকে। সুকান্তও সেই সম্ভবনার কথা বলেছেন।
তবে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে গিয়ে কলকাতা পুলিশের ‘অসহযোগিতা’র অভিযোগে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত। তাঁর দাবি, রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী সুজিত বসুর গাড়ি ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হলেও তাঁর গাড়িকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁকে অনেকটা পথ হেঁটেই যেতে হয়েছে। সুকান্ত বলেন, “নিয়ম সকলের জন্য এক হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। কিন্তু রাজ্যের মন্ত্রীর সঙ্গে পুলিশ এক ব্যবহার করল আর কেন্দ্রের মন্ত্রীর সঙ্গে অন্য ব্যবহার করল। এটা নিয়ম বহির্ভূত।” রাতে এই নিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিককে তিনি দিল্লিতে তলব করাবেন।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে