হেঁশেলে ঢুকে উন্নয়ন বোঝাবেন অমিত

রামনবমী পালন বা নারদ-কাণ্ড নিয়ে রাস্তায় শোরগোল ফেলে দলের ভোটের হার বাড়তে পারে। কাঁথি দক্ষিণের মতো কিছু জায়গায় দল দ্বিতীয় স্থানে আসতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:২৮
Share:

অমিত শাহ

রামনবমী পালন বা নারদ-কাণ্ড নিয়ে রাস্তায় শোরগোল ফেলে দলের ভোটের হার বাড়তে পারে। কাঁথি দক্ষিণের মতো কিছু জায়গায় দল দ্বিতীয় স্থানে আসতে পারে। কিন্তু ওই হাওয়ায় ভোটে আসন জেতা সম্ভব নয়। তার জন্য লাগে মজবুত সংগঠন। এই সার সত্য বুঝে এ বার পশ্চিমবঙ্গের বাড়িতে বাড়িতে গৃহস্থের হেঁশেলে ঢুকে মানুষের সঙ্গে ভাব জমানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। আগামী ২৫ থেকে ২৭ এপ্রিল সেই কাজটাই হাতে কলমে দলের বুথ কমিটির সদস্যদের শেখাবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এর পর ২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বরও ফের রাজ্য বিজেপি-কে সময় দেবেন তিনি।

Advertisement

রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, ২৫ এপ্রিল অমিত শিলিগুড়ির পাঁচটি বাড়িতে গিয়ে ব্যাখ্যা করবেন, রাজ্যে ২ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া, সড়ক উন্নয়ন-সহ যত রকম সাধারণ মানুষের স্বার্থবাহী প্রকল্প চলছে, সেগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক অনুদান রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, কেন্দ্রের অনুদানের টাকা অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্য নির্দিষ্ট প্রকল্পে খরচ করতে পারছে না। কোথাও কোথাও টাকা নয়ছয়ও হচ্ছে। কিন্তু রাজ্য সরকার কেন্দ্রের ভূমিকা স্বীকার না করে পুরো কৃতিত্বটাই নিজে নেওয়ার চেষ্টা করছে। বিজেপি-র মতে, উত্তরপ্রদেশে জয়ের পিছনে মুসলিম মহিলাদের তালাক বিরোধী ভোটের পাশাপাশিই অন্য সম্প্রদায়ের মহিলাদের সমর্থনও রয়েছে। কারণ, সেখানে ভোটের আগে ঘরে ঘরে গ্যাস পৌঁছে দিয়ে তা নিয়ে বিপুল প্রচার হয়েছিল। এ রাজ্যেও সেই পথেই এগোতে চাইছে দল। তবে রাজ্যবাসীর মন জয়ে বিজেপির আর এক হাতিয়ার ধর্মীয় মেরুকরণ। তাই ঘরে ঘরে গিয়ে সেই বিষয়েও কথা বলবেন অমিত।

একই সময়ে অমিতের পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, আরও দুই কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ এবং সুরেশ পূজারীও শিলিগুড়ির পাঁচটি করে বাড়িতে জনসংযোগ করতে যাবেন।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ-সহ যে সব রাজ্যে দল সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল, কিন্তু সম্ভাবনাময় জায়গায় রয়েছে, সেখানে অমিতই বুথ সংগঠনকে চাঙ্গা করতে নেমে পড়েছেন। ২৫ তারিখ শিলিগুড়ি স্টেডিয়ামে সংশ্লিষ্ট বুথ কমিটির দলীয় সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন অমিত। সেখানে বিদ্বজ্জনেদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা তাঁর। দলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওই বৈঠকে হল ভরাতে সমাজের অন্য অংশের মানুষকে যেন ডাকা না হয়।

শিলিগুড়ির পরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গেও অমিতের একই কর্মসূচি থাকার কথা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement