Mukul Roy

বিজেপির পুজোর রাশ কৈলাস ও মুকুলের হাতে 

শনিবার ইজেডসিসি-তে দুর্গোৎসবের আয়োজন নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়-সহ দলীয় নেতা-নেত্রীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২০ ০৪:৪২
Share:

—ফাইল চিত্র।

বিজেপির আয়োজিত দুর্গোৎসবে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় নৃত্য পরিবেশন করবেন বলে দলের তরফে জানানো হয়েছে। যদিও তিনি পেশাদার শিল্পী, তবুও বিজেপির ওই অনুষ্ঠানে তাঁর অংশগ্রহণ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী এবং সৌরভের সঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ নিয়ে সাম্প্রতিক কালে যথেষ্ট জল্পনা ছড়িয়েছে। এমনকি, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সৌরভ রাজ্যে বিজেপির মুখ হবেন কি না, তা নিয়েও চর্চা আছে।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে বরাবরই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা দুর্গাপুজোর সঙ্গে যুক্ত থাকেন। কিন্তু এর আগে কোনও রাজনৈতিক দলকে সরাসরি দুর্গাপুজোর আয়োজন করতে দেখা যায়নি। এ বার প্রথম তা করছে বিজেপি।

কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (ইজেডসিসি)-তে আগামী বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে তার উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ওই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে শারদোৎসব উপলক্ষে বঙ্গবাসীর উদ্দেশে ভাষণও দেওয়ার কথা তাঁর। বিজেপি সূত্রের দাবি, অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার আগে মোদী নিজের বাসভবনে দুর্গাপ্রতিমাকে আরাধনা করতে পারেন এবং ভাষণ দিতে পারেন বাঙালির পোশাক ধুতি-পাঞ্জাবি পরে।

Advertisement

আরও পড়ুন: রেজ্জাকের কাছে সিদ্দিকুল্লা

আরও পড়ুন: তৃণমূল থেকে তিন নেতাকে বহিষ্কার

তবে দুর্গোৎসব নিয়েও বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব স্পষ্ট হচ্ছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘‘দল কোনও পুজো করছে না। পুজো করা দলের কাজ নয়। দল কেবল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের আগে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে। চার দিনের কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও নেই। অনুষ্ঠান এক দিনই হবে, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের দিন।’’ কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছ, বিজেপি ইজেডসিসি-তে পুরোদমে দুর্গাপুজো করছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হচ্ছে ষষ্ঠী থেকে নবমী চার দিন। শনিবার ইজেডসিসি-তে দুর্গোৎসবের আয়োজন নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়-সহ দলীয় নেতা-নেত্রীরা। দুর্গোৎসবের দায়িত্বে থাকা রাজ্য বিজেপির সম্পাদক সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরী জানান, সপ্তমীতে ছৌ, অষ্টমীতে বাউল-সহজিয়া এবং নবমীতে দোহারের গান হবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এমন জলসায় ভিড় বেশি হলে কোভিড-সুরক্ষা বিধি মানা হবে কী ভাবে? সঙ্ঘমিত্রা বলেন, ‘‘অন্য পুজোয় যে ভাবে কোভিড সুরক্ষা বিধি মানা হবে, আমাদের পুজোতেও সে ভাবেই হবে। আর ভিড় এড়িয়ে অনুষ্ঠান দেখার জন্য ইজেডসিসি-র উল্টো দিকের মাঠে জায়ান্ট স্ক্রিন থাকবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন