North Bengal

Abhishek banerjee: অভিষেককে বিঁধে ময়দানে বিজেপি

মঙ্গলবার ধূপগুড়ির জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গ নয়। রাজ্যটা পশ্চিমবঙ্গ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি, কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২২ ০৬:০০
Share:

ফাইল চিত্র।

‘উত্তরবঙ্গ’ নাম নেওয়া বন্ধ হলেই কি মিটবে বঞ্চনার অভিযোগ? এই যুক্তি সামনে রেখে এ বারে পাল্টা মাঠে নেমেছেন বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যরা।

Advertisement

মঙ্গলবার ধূপগুড়ির জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গ নয়। রাজ্যটা পশ্চিমবঙ্গ। তিনি বলেছিলেন, “আজ থেকে তৃণমূলের অভিধানে উত্তরবঙ্গ শব্দটা থাকবে না। যারা বাংলা ভাগ করতে চাইছেন, তাঁদের চ্যালেঞ্জ করছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে বাংলা ভাগ করে দেখান।” অভিষেকের ওই বক্তব্যের পরে তা নিয়ে মাঠে নেমেছে বিজেপি। সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যরাও সমাজমাধ্যমে প্রচার শুরু করেছেন। প্রশ্ন তোলা হয়, ‘উত্তরবঙ্গ’ নামটি কি বিজেপির দেওয়া? উত্তরবঙ্গ নামের ইতিহাস অভিষেক জানে কি না, তা নিয়েও কেউ কেউ কটাক্ষ করেছেন। তাঁদের পাল্টা জিজ্ঞাসা, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের কী হবে তা হলে?

বিজেপির কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “উত্তরবঙ্গ বরাবর বঞ্চিত। এখান থেকে ভোটে জেতার পরে কেউ গুরুত্বপূর্ণ পদ পায় না। তৃণমূল সরকারও তো পুরোপুরি দক্ষিণবঙ্গ কেন্দ্রিক। মানুষ তার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে।” বিজেপির পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়, শুধু বিরোধীদের নয়, শাসকদলের ভিতরেও বঞ্চনা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু ভোটে টিকিট না পাওয়ার ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না।

Advertisement

উত্তরবঙ্গ নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যেকার আবেগের কথা বলেছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। অভিষেকের প্রতি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, যিনি এমন কথা বলেন, রাজ্যের ইতিহাস-ভূগোল নিয়ে তাঁর জ্ঞান কতটা, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় অবশ্য পাল্টা বলেন,“উত্তরবঙ্গ নামটিকে হাতিয়ার করে রাজ্য ভাগের চক্রান্ত করছে বিজেপি। সে কারণেই আমাদের নেতা বলেছেন, উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ নয়, বঙ্গ একটাই। সেটা পশ্চিমবঙ্গ। বিজেপির ওই রাজ্য ভাগের চক্রান্ত আমরা সবাই রুখে দেব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন