ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুল।—নিজস্ব চিত্র।
দাড়িভিট স্কুলে গুলিকাণ্ডে দুই ছাত্রের মৃত্যুর পরে সেই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে স্কুল অচল করে দিয়েছেন নিহতদের পরিবার ও গ্রামবাসীদের কয়েকজন। তাঁদের পাশেই দাঁড়িয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও তখন মন্তব্য করেছিলেন, কয়েক দিন স্কুল বন্ধ থাকলে বিশেষ কিছু যাবে আসবে না। কিন্তু যত দিন গিয়েছে, ওই স্কুলের উনিশশো ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। সামনে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক। তার টেস্ট পরীক্ষাও হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। অভিভাবকেরা স্কুল খোলার দাবি জানাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে দাড়িভিট স্কুলের অচলাবস্থায় চাপে পড়েছে বিজেপিও। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য স্কুল খোলার প্রয়োজন রয়েছে বলে মেনে নিচ্ছেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব।
তাই সিবিআই তদন্তের দাবিতে আন্দোলন চালু রেখেও স্কুল খোলার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে কথাবার্তা শুরু করেছে। রাজ্য সভাপতি দিলীপবাবু বুধবার বলেন, ‘‘দোষীদের শাস্তির দাবিতে সিবিআই তদন্ত করতেই হবে। তা নিয়ে আমরা কোনও আপস করব না। তবে অন্য ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থও গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে আমাদের স্থানীয় নেতারা অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলবেন।’’
স্কুল কেন খুলছে না, তা নিয়ে চাপে প্রশাসনও। মঙ্গলবার দাড়িভিট স্কুলের মাঠেই সভা করে পরিস্থিতি সহজ করার চেষ্টা হয়। ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘অভিভাবকদের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছি।’’