হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। — ফাইল চিত্র।
বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর হামলার ঘটনায় এ বার সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা কলকাতা হাই কোর্টে। বিজেপির তরফে মামলা দায়ের করতে চেয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। বিচারপতি ওমনারায়ণ রাই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
হাই কোর্টে বিজেপির আইনজীবী ময়ূখ মুখোপাধ্যায়ের সওয়াল, বিজেপি সাংসদকে আক্রমণের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিক আদালত। তদন্ত করুক জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-ও। বিজেপির তরফে আদালতে ওই দিনের ঘটনার ফুটেজ সংরক্ষণেরও আর্জি জানানো হয়েছে।
বিজেপি সাংসদ খগেনের উপর আক্রমণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। ওই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের আর্জি জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। খগেনের উপর হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারীর আইনজীবী। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। বিচারপতি কৌশিক চন্দ এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে। খগেন কাণ্ডে জনস্বার্থ মামলার পর এ বার সিবিআই তদন্ত চেয়েও হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল বিজেপি।
সোমবার জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় দুর্যোগকবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন মালদহ উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ খগেন এবং শিলিগুড়ির পদ্ম বিধায়ক শঙ্কর। অভিযোগ, লাঠি, জুতো নিয়ে খগেন এবং শঙ্করের উপর চড়াও হয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ। নদী থেকে পাথর তুলে তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। তাতেই মুখে আঘাত পান খগেন। বাঁ চোখের নীচে আঘাত লাগে তাঁর। সেখান থেকে গলগল করে রক্ত ঝরতে থাকে। ধাক্কা দেওয়া হয় শঙ্করকেও। তাঁরও হাতে চোট লাগে। দু’জনকেই পরে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বুধবার শঙ্কর ছাড়া পেলেও খগেন এখনও চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি তরজা তুঙ্গে। প্রত্যাশিত ভাবেই শাসকদলের দিকে আঙুল তুলেছে পদ্মশিবির। তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার তো করেইছে, পাশাপাশি ঘটনার নিন্দা করে তারা জানিয়েছে যে, এই ধরনের বিক্ষোভকে তারা মোটেই সমর্থন করে না। ঘটনার পরের দিন হাসপাতালে গিয়ে খগেনকে দেখে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।