বোমায় হত বিজেপি কর্মী

এলাকা দখল নিয়ে ফের তেতে উঠছে বীরভূমের পাড়ুই। মঙ্গলবার রাত থেকেই তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ-বোমাবাজি শুরু হয়েছিল। তা গড়ায় বুধবার পর্যন্ত। একাধিক বার উভয় পক্ষ মুখোমুখি হয়। বোমায় জখম হয়ে পরে মারা যান এক বিজেপি কর্মী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাড়ুই শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৫ ০৪:০৮
Share:

বোমাবাজিতে বুধবারি তেতে রইল সাত্তোর। চলছে পুলিশি প্রহরা।

এলাকা দখল নিয়ে ফের তেতে উঠছে বীরভূমের পাড়ুই।

Advertisement

মঙ্গলবার রাত থেকেই তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ-বোমাবাজি শুরু হয়েছিল। তা গড়ায় বুধবার পর্যন্ত। একাধিক বার উভয় পক্ষ মুখোমুখি হয়। বোমায় জখম হয়ে পরে মারা যান এক বিজেপি কর্মী।

সন্ধ্যায় বিজেপি নেতা হৃদয় ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘‘আমাদের কর্মী শেখ লালনকে তৃণমূলের দুষ্কৃতী শেখ কানুর নেতৃত্বে বোমা মারা হয়েছে।’’ অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের সাত্তোর অঞ্চল সম্পাদক শেখ মুস্তফা দাবি করেন, ‘‘আমার ছেলে বাবর আলি সংবাদমাধ্যমের কিছু প্রতিনিধিকে এলাকায় নিয়ে গেলে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাকে মারে। সন্ধ্যায় ফের এলাকা দখল করতে গিয়ে নিজেদের বোমাতে লালন জখম হয়।’’

Advertisement

এলাকা দখলে রাখা এবং ঘরছাড়া কর্মীদের গ্রামে ফেরানো নিয়ে বারবার তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হচ্ছে পাড়ুই। মাস কয়েক আগেই রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল চৌমণ্ডলপুর ও মাখড়া গ্রাম। গত তিন দিন ধরেই পাড়ুই থানার একাধিক এলাকায় দুই পক্ষে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলছে। সোমবার আব্দুল সালাম নামে এক বিজেপি কর্মী মার খাওয়ায় ফের পরিস্থিতি তেতে ওঠে। রাতে স্থানীয় বেলপাতা গ্রামে বোমাবাজি হয়। তার রেশ ছড়ায় মাখড়াতেও।

বাড়িতে বোমার চিহ্ন দেখাচ্ছেন এলাকার এক মহিলা। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।

তৃণমূলের অভিযোগ, তারই জেরে মঙ্গলবার রাতে সাত্তোরো তাদের দুই সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাদের একাধিক সমর্থকের বাড়িতে চড়াও হয়। বুধবার সকালে গণ্ডগোল আরও বড় আকার নেয়। মুস্তফার অভিযোগ, ‘‘আমাদের শেখ রফিককে খুন করতে নিমাই দাসের নেতৃত্বে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওর বাড়িতে চড়াও হয়। আমার ছেলেকে লাঠি-রড দিয়ে মেরেছে। বিজেপি বহিরাগত মাস্কেটবাহিনী দিয়ে এলাকা দখল করার চেষ্টা করছে।’’

বিজেপির পাড়ুই থানা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ সামাদ পাল্টা বলেন, “মঙ্গলবার রাতে তৃণমূলের নেতারা ও তাঁদের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ঢুকে লুঠপাট ও বোমাবাজি করেছে। ভয়ে এলাকায় ঢুকতে পারছি না।’’ গণ্ডগোল ছড়াচ্ছে বুঝে সকালেই এসডিপিও (বোলপুর) অম্লানকুসুম ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশ, র‌্যাফ, কমব্যাট ফোর্স এলাকায় গিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পুলিশ সুপার মুকেশকুমার ফোন ধরেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন