কুপিয়ে খুন বিজেপি কর্মী

বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষের দাবি, ‘‘বাইকে মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন রামপদ। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির এসটি মোর্চার বেলিয়াবেড়া মণ্ডল সভাপতি বিপদভঞ্জন তরাই ও রামপদর সম্পর্কিত নাতি বছর বারোর সৌমেন বেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বেলিয়াবেড়া শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:০৪
Share:

এলাকা দখল ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘাত চলছিল পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই। বুধবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়ার ভামাল গ্রামে আক্রান্ত হয়েছিলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি। শুক্রবার দুপুরে সেখানেই টাঙির কোপে মৃত্যু হল এক বিজেপি কর্মীর। মৃতের নাম রামপদ বেরা (৫৫)। এর পরে এই এলাকায় দু’দলের সংঘর্ষ বাধে। পাল্টা হামলায় ফের জখম হন তৃণমূলের নয়াগা বুথ সভাপতি সুষেণ কারক। অ্যাসিড-হামলা ও মারধরে জখম হয়েছেন বিজেপির তিন কর্মী।

Advertisement

বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষের দাবি, ‘‘বাইকে মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন রামপদ। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির এসটি মোর্চার বেলিয়াবেড়া মণ্ডল সভাপতি বিপদভঞ্জন তরাই ও রামপদর সম্পর্কিত নাতি বছর বারোর সৌমেন বেরা। পথেই তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়।’’ যদিও তৃণমূলের বেলিয়াবেড়া ব্লক সভাপতি কালিপদ সুরের বক্তব্য, “রামপদ ও সুষেণের ব্যক্তিগত বিরোধেই এই ঘটনা। গ্রাম্য বিবাদে রাজনৈতিক রং দিতে চাইছে বিজেপি।” ঝাড়গ্রামের জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর বলেন, “ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

পঞ্চায়েত ভোটে স্থানীয় চোরচিতা গ্রাম পঞ্চায়েতে ফের ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। তবে ৮টি আসনের মধ্যে ভামাল-সহ তিনটিতে জিতেছে বিজেপি। আর তার পর থেকেই ঝাড়খণ্ডের বড়শোল থানা এলাকার সীমানা লাগোয়া ভামালে দু’পক্ষের বিরোধ বেড়েছে। মাস খানেক আগে ভামালের কাছে গোবিন্দপুরে পুলিশ ক্যাম্পও বসানো হয়েছে।

Advertisement

বুধবার রাতে বাড়ির কাছেই টাঙির ঘায়ে সস্ত্রীক জখম হন তৃণমূল নেতা সুষেণ। তপসিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিত্সার পরে এ দিন তিনি গ্রামে ফিরতেই ফের তেতে ওঠে ভামাল। সুষেণের উপর হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন রামপদ। আগে তিনি তৃণমূল করতেন। সম্প্রতি বিজেপিতে এসেছেন। এ দিন সংঘর্ষ চলাকালীন রামপদর মাথায় টাঙির কোপ পড়ে। তপসিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এর পর বিজেপির লোকেরা সুষেণের বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন