ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ (এসআইআর) শুরু হয়েছে। এই প্রাক্-পর্বে বাকি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে কম বুথ লেভেল এজেন্ট (বিএলএ) নিয়োগ করা হয়েছে। পরিসংখ্যান দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারা জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বিএলএ নিয়োগ নিয়ে ‘অনীহা’ রয়েছে। রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলিকে বিএলএ নিয়োগ করতে বলছে নির্বাচন কমিশন। অন্য দিকে, শনিবার রাজ্যের বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-দের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রশিক্ষণ দেবে নির্বাচন কমিশন। সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে প্রশিক্ষণ।
বৃহস্পতিবার জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (ডিইও)-দের সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর (সিইও)। সেখানে সিইও অফিসের আধিকারিকেরা জানান, জেলাস্তরে রাজনৈতিক দলগুলিকে বিএলএ নিয়োগ করতে বলা হোক। এর আগে গত মঙ্গলবার সর্বদলীয় বৈঠকে সব রাজনৈতিক দলগুলিকে বিএলএ নিয়োগের কথা বলেছিল কমিশন। কমিশনের আধিকারিক জানিয়েছিলেন, বিএলএ নিয়োগ রাজনৈতিক দলের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে, পশ্চিমবঙ্গে ভোটারের সংখ্যা প্রায় সাত কোটি ৬৬ লক্ষ ২৪ হাজার। সেখানে বিএলও (বুথ লেভেল অফিসার)-এর সংখ্যা ৮০ হাজার ৬৮১। বিএলএ-র সংখ্যা ১৮ হাজার ১১৪। উত্তরপ্রদেশে ভোটারের সংখ্যা ১৫ কোটি ৪৪ লক্ষ ২৪ হাজার। সেখানে বিএলও-র সংখ্যা এক কোটি ৬২ হাজার ৪৮৬। বিএলএ-র সংখ্যা এক লক্ষ ৯২ হাজার ৯৮৬। রাজস্থানে ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৪৮ লক্ষ ৮৫ হাজার। বিএলও-র সংখ্যা ৫২,৪৯০। বিএলএ-র সংখ্যা ৯৭,৮৭৩। এই রাজ্যগুলির তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে বিএলএ-র সংখ্যা কম। যদিও আন্দামান ও নিকোবর এবং গোয়া, লক্ষদীপ, পুদুচেরির মতো ছোট রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জনসংখ্যা যেহেতু কম, তাই সেখানে বিএলএ-র সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় কম। বেশি জনসংখ্যা রয়েছে, যেমন রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে বিএলএ-র সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় বেশি।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ২৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে শুরু হয়েছে এনুমেরেশন ফর্ম (সংখ্যা যাচাই সংক্রান্ত আবেদনপত্র) ছাপানোর কাজ। একই দিনে শুরু হয়েছে বিএলওদের প্রশিক্ষণের কাজ। যা চলবে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমেরেশন ফর্ম দেওয়া হবে। কেউ রাজ্যের বাইরে গেলে বা প্রবাসীরা অনলাইনেও ফর্ম ভরতে পারবেন। অন্য দিকে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৯ ডিসেম্বর। এই তালিকা নিয়ে অভিযোগ থাকলে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে হবে। পরবর্তী পর্যায়ে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে অভিযোগ শোনা এবং খতিয়ে দেখার কাজ। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।