Jagdeep Dhankhar

কালো পতাকা, ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, ডোমকলে ঢুকতেই বিক্ষোভ রাজ্যপালের কনভয় ঘিরে

এই ঘটনা রাজ্যের সরকারি দলের জন্যই মর্যাদাহানিকর— মন্তব্য বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর। আর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বললেন— শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৯ ১৫:৪৫
Share:

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। নিজস্ব চিত্র

সমালোচনা, কটাক্ষ, আক্রমণ চলছিলই। এ বার কালো পতাকা দেখানো হল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। একটি কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলে যান রাজ্যপাল। গন্তব্যে পৌঁছনোর কিছুটা আগেই রাস্তার দু’ধারে জমায়েত করে কয়েকশো লোক কালো পতাকা দেখালেন তাঁকে। ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও দিলেন তাঁরা।

Advertisement

এই ঘটনা রাজ্যের সরকারি দলের জন্যই মর্যাদাহানিকর— মন্তব্য বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর। আর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বললেন— শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করা হচ্ছে।

ডোমকল গার্লস কলেজের নতুন ভবনের উদ্বোধন করতে এ দিন সেখানে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ডোমকলের সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমান। রাজ্যপালের কনভয় পৌঁছনোর আগে থেকেই ডোমকল হাসপাতাল মোড়ে রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন কয়েকশো লোক। কনভয় দেখা দিতেই তাঁরা কালো পতাকা নাড়িয়ে এবং ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

Advertisement

আরও পড়ুন:এনআরসিতে কোনও ধর্ম টার্গেট নয়, রাজ্যসভায় বললেন অমিত, একই সঙ্গে শোনালেন নতুন নাগরিকত্ব বিলের কথাও
আরও পড়ুন:মহারাষ্ট্রে বিজেপি-এনসিপি সরকার? মোদী-পওয়ার বৈঠকের পর জল্পনা তুঙ্গে

বিক্ষোভকারীরা কনভয় আটকানোর চেষ্টা অবশ্য করেননি। পুলিশও দ্রুত কনভয়টিকে ওই এলাকা পার করিয়ে দেয়। কিন্তু বিক্ষোভ দেখেই রাজ্যপাল নিজের গাড়ির জানালার কাচ নামিয়ে দেন এবং বিক্ষোভকারীদের দিকে হাত নাড়তে নাড়তে পেরিয়ে যান।

বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলই এই বিক্ষোভ সংগঠিত করেছে। যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তাঁরা সবাই তৃণমূলকর্মী বলে জেলা বিজেপির দাবি। কিন্তু মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে নিজেদের যোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। ডোমকলের তৃণমূল নেতারা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। কিন্তু তাঁদের দাবি, এই বিক্ষোভ সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ।

দেখুন ঘটনার ভিডিও:

বামেরা এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। যাদবপুরের সিপিএম বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভায় বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাজ্যপাল যেখানে যেখানে যাচ্ছেন, সেখানে কেন যাচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু তিনি যখন একটা জায়গায় গিয়েছেন, তখন এ সব করার কোনও অর্থ হয় না।’’ সুজনের প্রশ্ন, ‘‘কালো পতাকা দেখিয়ে কী গোপন করতে চাইছে তৃণমূল? কোন সত্য প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন ওঁরা?’’

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘এরা শালীনতার সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।’’ তবে তার সঙ্গেই সোমেনের সংযোজন, ‘‘রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্যপাল— সবই এখন এক। সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার কথা কেউ মাথায় রাখছেন না।’’

সমালোচনা, কটাক্ষ, আক্রমণ চলছিলই। এ বার কালো পতাকা দেখানো হল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। একটি কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলে যান রাজ্যপাল। গন্তব্যে পৌঁছনোর কিছুটা আগেই রাস্তার দু’ধারে জমায়েত করে কয়েকশো লোক কালো পতাকা দেখালেন তাঁকে। ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও দিলেন তাঁরা।

এই ঘটনা রাজ্যের সরকারি দলের জন্যই মর্যাদাহানিকর— মন্তব্য বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর। আর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বললেন— শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করা হচ্ছে।

ডোমকল গার্লস কলেজের নতুন ভবনের উদ্বোধন করতে এ দিন সেখানে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ডোমকলের সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমান। রাজ্যপালের কনভয় পৌঁছনোর আগে থেকেই ডোমকল হাসপাতাল মোড়ে রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন কয়েকশো লোক। কনভয় দেখা দিতেই তাঁরা কালো পতাকা নাড়িয়ে এবং ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

বিক্ষোভকারীরা কনভয় আটকানোর চেষ্টা অবশ্য করেননি। পুলিশও দ্রুত কনভয়টিকে ওই এলাকা পার করিয়ে দেয়। কিন্তু বিক্ষোভ দেখেই রাজ্যপাল নিজের গাড়ির জানালার কাচ নামিয়ে দেন এবং বিক্ষোভকারীদের দিকে হাত নাড়তে নাড়তে পেরিয়ে যান।

বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলই এই বিক্ষোভ সংগঠিত করেছে। যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তাঁরা সবাই তৃণমূলকর্মী বলে জেলা বিজেপির দাবি। কিন্তু মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে নিজেদের যোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। ডোমকলের তৃণমূল নেতারা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। কিন্তু তাঁদের দাবি, এই বিক্ষোভ সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ।

বামেরা এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। যাদবপুরের সিপিএম বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভায় বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাজ্যপাল যেখানে যেখানে যাচ্ছেন, সেখানে কেন যাচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু তিনি যখন একটা জায়গায় গিয়েছেন, তখন এ সব করার কোনও অর্থ হয় না।’’ সুজনের প্রশ্ন, ‘‘কালো পতাকা দেখিয়ে কী গোপন করতে চাইছে তৃণমূল? কোন সত্য প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন ওঁরা?’’

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘এরা শালীনতার সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।’’ তবে তার সঙ্গেই সোমেনের সংযোজন, ‘‘রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্যপাল— সবই এখন এক। সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার কথা কেউ মাথায় রাখছেন না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন