হাওড়া স্টেশনে যাত্রীদের দুর্ভোগ। নিজস্ব চিত্র।
অবরোধ উঠেছিল মধ্য রাতে। কিন্তু, তার পরেও প্রায় ১২ ঘণ্টা কাটতে চলল এখনও স্বাভাবিক হল না দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ট্রেন চলাচল।
বেশ কিছু ট্রেন বাতিল এবং কিছু ট্রেনের সময় পরিবর্তন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ।মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কিছু ট্রেন সময়েই চলছে। আর কিছু ট্রেনের সময় বদলে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। গীতাঞ্জলি, করমণ্ডলের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন আজ সময়েই ছাড়বে।’’
সোমবার সকাল থেকেই একটি জনজাতি সংগঠনের ডাকা রেল অবরোধের জেরে জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে প্রচুর ট্রেন। অবরোধের জেরে রেলের তরফে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়। সোমবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া সেই অবরোধ রাত প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ ওঠে। তত ক্ষণে যাত্রী দুর্ভোগ চরম আকার নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: সেতুর জন্য নিগম গড়ার ভাবনা
এ দিনও বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। তার মধ্যে রয়েছে, হাওড়া-পুরী ধৌলি এক্সপ্রেস, হাওড়া-বরবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি-পুরুলিয়া রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস, হাওড়া-তিতলাগড় ইস্পাত এক্সপ্রেস, শালিমার-ভোজুডি আরণ্যক এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুরুলিয়া লালমাটি এক্সপ্রেস, হাওড়া-সেকন্দরাবাদ ফলকনামা এক্সপ্রেস, হাওড়া-যশবন্তপুর দুরন্ত এক্সপ্রেস। এ ছাড়া হাওড়া-মুম্বই দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো বেশ কিছু ট্রেন আসানসোল, জয়চণ্ডী পাহাড়, চান্ডিল, টাটানগর হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: দিলীপের বন্ধ-হুমকি,পাশে নেই বিরোধীরা
পাশাপাশি, হাওড়া-যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস দুপুর ১২টা ৪০-এর বদলে ছাড়বে রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে। শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল এক্সপ্রেস দুপুর ১২টা ১০-এর পরিবর্তে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ছাড়বে হাওড়া থেকে।
তবে রেলের তরফে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার দাবি করা হলেও, এতগুলি ট্রেন এ দিনও বাতিল করার ফলে যাত্রীরা বেশ ক্ষুব্ধ।
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলায় খবর জানতে পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগ।)