West Bengal SIR

‘এ বার আত্মহত্যা করতে হবে’! কাজের চাপে কেঁদেই ফেললেন বিএলও-রা, জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভও

বৃহস্পতিবার কাটোয়া ১ নম্বর বিডিও অফিসে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় গিয়েছিলেন বিএলও-রা। সেখানে তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ২১:০০
Share:

বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন বিএলও-রা। —ফাইল চিত্র।

বাড়ি বাড়ি ঘুরে এসআইআর ফর্ম বিলি এবং পরে তা সংগ্রহ। তার উপর ডেটা এন্ট্রি, ডিজিটাইজেশন! নির্বাচন কমিশনের এই কাজ তো রয়েইছে। কাউকে কাউকে আবার স্কুলেও যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই সমস্ত কাজ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন বিএলও-রা। এ নিয়ে বিক্ষোভও হচ্ছে জায়গায় জায়গায়। ক্ষোভ উগরে দিতে গিয়ে কেউ কেউ কেঁদেও ফেললেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার কাটোয়া ১ নম্বর বিডিও অফিসে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় গিয়েছিলেন বিএলও-রা। সেখানে তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, এত কম সময়ের মধ্যে সমস্ত ভোটারের তথ্য অ্যাপে আপলোড করা একেবারেই সম্ভব নয়।

প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন কাটোয়া মহকুমাশাসক অনির্বাণ বসু-সহ নির্বাচন কমিশনের একাধিক প্রতিনিধি। কিন্তু বৈঠক শুরু হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিএলও-রা। কাটোয়া শহরের ৭৯ নম্বর বুথের বিএলও দেবাশিস দাস বলেন, “আমার বুথে ১০৯৩ জন ভোটার রয়েছেন। ফর্ম বিলি ও সংগ্রহ দুটোই করছি। কিন্তু এর মধ্যে আবার ডিজিটাইজেশনের কাজও যদি করতে হয়, একার পক্ষে অসম্ভব। আমার শারীরিক অবস্থাও ভাল নয়। এ ভাবে চাপ দিলে হয়তো আমাকে আত্মহত্যা করতে হবে।”

Advertisement

একই কথা বললেন গোয়াই গ্রামের ৩ নম্বর বুথের বিএলও পঙ্কজ কোনার ও জাজিগ্রামের ৯ নম্বর বুথের বিএলও অমিত দাস। তাঁদের অভিযোগ, অধিকাংশ বিএলও অনলাইন বা কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষ নন। তার উপর অনেক এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা অনিয়মিত। ফলে ভোটারদের বিপুল তথ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অ্যাপে আপলোড করা দুঃসাধ্য। তাঁরা দাবি জানান, প্রতিটি বিএলও-র সঙ্গে একজন করে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করা হোক।

এ বিষয়ে মহকুমাশাসক অনির্বাণ বসু বলেন, ‘‘বিএলও-রা ওঁদের অসুবিধার কথা জানিয়েছেন। আমরা তা শুনেছি। তবে নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট নির্দেশও ওঁদের জানানো হয়েছে। কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার প্রমাণ-সহ আবেদন করলে, তা মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হবে এবং স্বাস্থ্য বিভাগ যাচাই করে দেখবে, নির্বাচনী দায়িত্বে সমস্যা হবে কি না।”

মেদিনীপুর সদর বিডিও অফিসেও ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিএলও-রা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেদিনীপুর শহর ও সদর ব্লকের বিএলও-রা একাধিক দাবি সংবলিত স্মারকলিপিও জমা দেন বিডিও কাহেকাশান পারভিনের কাছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement