টুকরো খবর

কিছু রাজ্যে সমবায়ের মাধ্যমে বিকল্প অর্থনীতিতে সাফল্য এসেছে। পশ্চিমবঙ্গও এ ভাবে সাফল্য পেতে পারে। বৃহস্পতিবার সুতাহাটার সুবর্ণজয়ন্তী হলে সমবায় সপ্তাহের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৫২
Share:

বিকল্প অর্থনীতির সাফল্য সমবায়েই, মত শুভেন্দুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • সুতাহাটা

Advertisement

কিছু রাজ্যে সমবায়ের মাধ্যমে বিকল্প অর্থনীতিতে সাফল্য এসেছে। পশ্চিমবঙ্গও এ ভাবে সাফল্য পেতে পারে। বৃহস্পতিবার সুতাহাটার সুবর্ণজয়ন্তী হলে সমবায় সপ্তাহের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুবাবু বলেন, “সমবায়ের মাধ্যমে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, গুজরাত, তামিলনাড়ু বিকল্প অর্থনীতিতে সাফল্য পেয়েছে, আমরা পারব না কেন? দুই মেদিনীপুরে সমবায়ে যে ধরনের আন্দোলন হয়, তেমনটা অন্য জেলাতেও ছড়িয়ে পড়ুক।” তিনি আরও বলেন, “রাজ্যে এক কোটি বেকার, দেশে সংখ্যাটা কুড়ি কোটি। সবাইকে কেউ চাকরি দিতে পারবে না। সমবায়ের বিকল্প অর্থনীতির মাধ্যমে মানুষকে স্বনির্ভর করতে হবে।” রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিচারে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্বাঞ্চলে এক নম্বরে রয়েছে কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক, আগেই এই দাবি করেছেন শুভেন্দু। এই ব্যাঙ্ক ১৪টি শাখা খুলেছে। ডানকুনিতেও শাখা খুলছে এই ব্যাঙ্ক। শুভেন্দু বলেন, “আগে সমবায়ে আয়কর ছিল না। এখন লাগু হয়েছে। তা প্রত্যাহার করতে হবে। কন্টাই সমবায় পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করল কেন? শুভেন্দুর উত্তর, “রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, আমরা উত্তর-পূর্ব ভারতে এক নম্বরে। জনগণও আমাদের সঙ্গে। কারও সার্টিফিকেটের দরকার নেই।” ছিলেন দেবপ্রসাদ মণ্ডল, তমলুক-ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান কমলেশ চক্রবর্তী প্রমুখ।

Advertisement

২১শে-র স্থল নিয়ে সওয়াল করল বিজেপি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

ধর্মতলায় বিজেপি-র ‘উত্থান দিবসে’র সভাস্থল নিয়ে জটিলতা বহাল। ৩০ নভেম্বর ওই সভায় বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ থাকবেন। হাইকোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার লালবাজারে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বিজেপি-র প্রতিনিধিদের একটি বৈঠক হয়। বিজেপি-র প্রতিনিধিদের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, তাঁদের সিদ্ধান্ত শুক্রবার জানানো হবে। পুলিশ কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, যা বলার, তাঁরা আদালতকেই বলবেন। ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে যেখানে প্রতি বছর তৃণমূল ২১ জুলাইয়ের সভা করে, সেখানেই সভা করতে চেয়ে পুলিশের অনুমতি পায়নি বিজেপি। অন্যত্র সমাবেশ করতেও তারা রাজি নয়। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব। বিচারপতির নির্দেশেই সভাস্থলের ব্যাপারে এ দিন বৈঠকে বসেছিলেন পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ এবং বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক অসীম সরকার, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আর কে ত্রিপাঠী, তিন প্রাক্তন আইপিএস আর কে হান্ডা, আর কে মহান্তি, সুজিত ঘোষ, অভিনেতা জর্জ বেকার, জয়প্রকাশ মজুমদার ও অলোক গুহরায়। সিপি জানতে চান, ওখানেই কেন সভা করতে চান তাঁরা? বিজেপি নেতৃত্ব জানান, তাঁরা আশা করছেন, ওই সভায় দু’লক্ষেরও বেশি মানুষ আসবেন। ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ছাড়া ধর্মতলা চত্বরে আর কোনও জায়গা নেই বলে মনে করেন তাঁরা। বৈঠকের পরে অসীমবাবু বলেন, “আশা করছি, কেন ওই জায়গায় সভা করার প্রয়োজন, পুলিশ কর্তৃপক্ষকে তা বোঝাতে পেরেছি। যে সিদ্ধান্তই তাঁরা জানান, আমরা তা হাইকোর্টকে জানাব।”

অসুস্থ সোনালি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

অসুস্থ ডেপুটি স্পিকার।—নিজস্ব চিত্র।

বিধানসভার অধিবেশনের শেষ দিনে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লেন ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ। বৃহস্পতিবার সর্বদল প্রস্তাব নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা চলছিল। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসনের কাছে গিয়ে কথা বলছিলেন সোনালি। হঠাৎ সংজ্ঞা হারিয়ে পড়ে যেতে দেখা যায় তাঁকে। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, পরিষদীয় সচিব নির্মল মাজি-সহ চিকিৎসক-বিধায়কেরা দৌড়ে যান। বিধানসভার চিকিৎসক দিয়ে তাঁকে পরীক্ষা করা হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা নেমে গিয়েই এমন বিপত্তি বলে জানা গিয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিইউ-য়ে ভর্তি করা হয়েছে সোনালিকে।

আর্থিক দাবিতে আন্দোলনে পিডিএস
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

হিংসা, নারী নির্যাতন, শিক্ষায় নৈরাজ্যের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের আর্থিক দাবিদাওয়াগুলি নিয়েও আন্দোলনে নামল পিডিএস। অর্থলগ্নি সংস্থার আমানতকারীদের টাকা ফেরত, কর্মসংস্থান, ১০০ দিনের কাজ, মিড ডে মিলের কর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে বৃহস্পতিবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে তাদের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রাক্তন বিধায়ক সুভাষ বসু। দলের রাজ্য সম্পাদক সমীর পূততুণ্ড বলেন, “জনজীবনের জরুরি দাবিতে আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন