গৃহবধূ ‘অন্তর্ধানে’ জামিন দেওরের

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও বিচারপতি মির দারা শিকো-র ডিভিশন বেঞ্চ ২৫ সেপ্টেম্বর উত্তমের জামিন মঞ্জুর করেছে।

Advertisement

শমীক ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৪৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

মেয়ের বাবার অভিযোগ ছিল, তাঁর মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন গুম খুন করে দেহ লোপাট করে দিয়েছে। আরও অভিযোগ ছিল, তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন তাঁর দেওর। সেই অভিযোগে হাও়ড়ার আমতা থানার পুলিশ গত ২০ জুলাই গ্রেফতার করেছিল উত্তম ধাড়া নামে এক যুবককে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও বিচারপতি মির দারা শিকো-র ডিভিশন বেঞ্চ ২৫ সেপ্টেম্বর উত্তমের জামিন মঞ্জুর করেছে।

Advertisement

ওই যুবকের আইনজীবী কল্লোল মণ্ডল বৃহস্পতিবার জানান, তাঁর মক্কেলের দাদা দীপকের সঙ্গে আমতারই বাসিন্দা মন্টি নামে এক তরুণীর ২০১২ সালে বিয়ে হয়। চলতি বছরের ১৭ জুলাই মন্টি শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। ওই দিনই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কিন্তু গৃহবধূর বাবা অশোক সাঁতরা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়ের উপরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন অত্যাচার করত। এমনকী দেওর মন্টিকে ধর্ষণও করেছে। উত্তম ছাড়া তাঁর দাদা, তাঁর স্ত্রী ও বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মেয়েকে গুম খুন করার অভিযোগও জানান অশোকবাবু।

ওই আইনজীবী জানান, নিখোঁজ থাকার কয়েক দিনের মধ্যেই ওই গৃহবধূ বাপের বাড়ি ফিরে আসেন। পুলিশ ওই মহিলাকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজির করিয়ে তাঁর গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করায়। তাতে ওই মহিলা জানান, সন্তান না হওয়ায় শ্বশুরবা়ড়ির লোকজন উত্তমের সঙ্গে সহবাস করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। সেই কারণে তিনি নিজের ইচ্ছেয় তাঁর পুরুষ বন্ধুর বাড়ি চলে গিয়েছিলেন।

Advertisement

উত্তমের আইনজীবী কল্লোলবাবু বলেন, চার্জশিটে প্রতিবেশীদের বয়ান রয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, গৃহবধূর সঙ্গে তাঁর পুরনো বন্ধুর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। পুলিশ ওই মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করাতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। মেয়ের বাবা গুম খুনের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে চেয়েছেন অভিযুক্তকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement