North Bengal Tourism

পর্যটনের ভরা মরসুমে উত্তরবঙ্গে বেড়ে যাওয়া পারমিট ফি-র প্রতিবাদে পরিবহণ দফতরকে চিঠি বাস সংগঠনের

প্রতি বছর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি— এই চার মাস উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পর্যটকদের ব্যাপক ভিড় থাকে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, ডুয়ার্স-সহ বহু গন্তব্য এমনিতেই আকর্ষণীয়। সরকারের পক্ষ থেকেও গত কয়েক বছরে এলাকাটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে তুলে ধরার জন্য নানা পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:৩৯
Share:

—প্রতীকী ছবি।

উত্তরবঙ্গের শীতকালীন পর্যটন মরসুমে বেসরকারি বাসের পারমিট ফি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটস। সংগঠনের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহনের উদ্দেশে এক বিস্তারিত চিঠিতে এ কথা জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, পারমিট ফি বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের একদিনের বনভোজন বা স্বল্প খরচে উত্তরবঙ্গ ভ্রমণের পরিকল্পনা ভেস্তে যাচ্ছে।

Advertisement

চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রতি বছর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি—এই চার মাস উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পর্যটকদের ব্যাপক ভিড় থাকে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, ডুয়ার্স–সহ বহু গন্তব্য এমনিতেই আকর্ষণীয়। সরকারের পক্ষ থেকেও গত কয়েক বছরে এলাকাটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে তুলে ধরার জন্য নানা পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের স্বল্প খরচে উত্তরবঙ্গ ভ্রমণের আগ্রহ আরও বেড়েছে।

কিন্তু সংগঠনের অভিযোগ, উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় আরটিও দফতর সম্প্রতি পারমিট ফি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে বেসরকারি বাস বুকিংয়ের মোট খরচও বেড়ে গিয়েছে। অনেক পরিবার, স্কুল-কলেজের বনভোজন দল বা স্বল্প বাজেটের পর্যটকেরা আগের মতো বাস বুক করতে পারছেন না। ফি বৃদ্ধির ফলে পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও তুলে ধরেছেন তপন।

Advertisement

চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, “সরকার যখন উত্তরবঙ্গের মতো জায়গাকে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলেছে, তখন সাধারণ মানুষের আর্থিক নাগালের মধ্যে ভ্রমণের সুযোগ রাখা জরুরি। পারমিট ফি বাড়ায় মানুষের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে।”

তিনি পরিবহণ দফতরের কাছে পারমিট ফি পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান। তাঁর মতে, ফি কমানো হলে পর্যটন মরসুমে বাস বুকিং বাড়বে, উপকৃত হবেন স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটন-নির্ভর ছোট ব্যবসায়ীরাও।

সংগঠনের আশা, পরিবহণ দফতর দ্রুত বিষয়টি খতিয়ে দেখে একটি যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবে। চিঠির শেষে তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বাস প্রকাশ করেছেন যে, সরকার সাধারণ মানুষের স্বার্থকেই সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেবে। পরিবহণ দফতরের তরফে এই চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement