ভয় কাটেনি, বড়দিনের আগেও ফাঁকা দিঘা

নতুন নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিক পঞ্জির বিরোধিতা করে সপ্তাহখানেক আগে ট্রেন ও পথ আটকে বিক্ষোভের জেরে দিঘাগামী ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিঘা শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৩০
Share:

দিঘার সমুদ্র সৈকতে পর্যটক কম। —ফাইল চিত্র

শনি-রবির ছোট্ট ছুটিতে বাঙালির বরাবরের প্রিয় ঠিকানা দিঘা। আর শীতের মরসুমে তো সৈকত শহরে তিলধারণের জায়গা থাকে না। সেই দিঘাতেই এ বার বড়দিনের আগের শনিবার চাইলেই মিলছে হোটেলের ঘর। সমুদ্রের ধারেও চেনা ভিড় উধাও।

Advertisement

নতুন নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিক পঞ্জির বিরোধিতা করে সপ্তাহখানেক আগে ট্রেন ও পথ আটকে বিক্ষোভের জেরে দিঘাগামী ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়েছিল। ১১৬ বি জাতীয় সড়কে নন্দকুমার এবং চণ্ডীপুরে টায়ার জ্বালিয়ে চলেছিল বিক্ষোভ। রাস্তায় আটকে ভোগান্তিতে পড়েছিলেন অনেকে। ফলে, গত সপ্তাহের শনি-রবিতেও শুনশানই ছিল দিঘা।

এখন অবশ্য দিঘা-হাওড়া রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সড়কপথেও কোথাও কোনও বাধা নেই। তবে পর্যটকদের আতঙ্ক পুরোপুরি কাটেনি। সে জন্যই বড়দিনের আগের শনি-রবিতেও দিঘায় ভিড় নেই বলে মনে করছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

সৈকত শহর জুড়ে ছোট-মাঝারি-বড় মিলিয়ে প্রায় বারোশো হোটেল রয়েছে। ওল্ড দিঘা, নিউ দিঘার অধিকাংশ হোটেলই শনিবার ফাঁকা ছিল। হোটেল ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গত ডিসেম্বরে প্রতি সপ্তাহে গড়ে এক লক্ষ পর্যটক দিঘায় এসেছেন। কিন্তু এ বার পরপর দু’টি সপ্তাহে সেই সংখ্যাটা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। দিঘার হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম-সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সর্বত্র বিক্ষোভ চলছে। সে জন্য অনেকে আতঙ্কিত। তাই ডিসেম্বরে সপ্তাহান্তের ছুটিতে তেমন ভিড় হচ্ছে না। তবে নতুন বছরে পা ফেলার আগেই ছবিটা বদলে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’’ বড়দিন থেকে পয়লা জানুয়ারির ছুটিতে দিঘার বিভিন্ন হোটেলে ৬০% ঘর অগ্রিম বুক হয়ে গিয়েছে বলে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন