Student Union Election

অবিলম্বে ছাত্র সংসদের নির্বাচন চাই, সঙ্গে র‌্যাগিং- বিরোধী ব্যবস্থা, রাজ্যকে নির্দেশ হাই কোর্টের

হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ জানিয়েছে, যে বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রভোট হয়নি, সেখানে সব দিক খতিয়ে দেখে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:১৫
Share:

কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে অবিলম্বে ছাত্র সংসদের নির্বাচন করাতে হবে, মঙ্গলবার রাজ্য সরকারকে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ জানিয়েছে, যে বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রভোট হয়নি, সেখানে সব দিক খতিয়ে দেখে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

Advertisement

আদালত আরও জানিয়েছে, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি র‌্যাগিং-বিরোধী কমিটি না থাকে, তা হলে তা গঠন করতে হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সময়মতো নির্বাচন করানোর জন্য কোনও নির্দেশিকা কি রাজ্যের তরফে জারি করা হয়েছে? হলফনামা দিয়ে তা রাজ্যকে জানাতে বলেছে আদালত। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র‌্যাগিং-বিরোধী কমিটি বা র‌্যাগিং-বিরোধী স্কোয়াড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কি না, তা-ও জানাতে হবে।

Advertisement

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর পরই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র‌্যাগিং সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি করেছিলেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র‌্যাগিং, জুনিয়র ছাত্রছাত্রীদের উপর অত্যাচার ঠেকাতে প্রাক্তন সিবিআই ডিরেক্টর আর কে রাঘবনের নামে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশন (ইউজিসি)-এর অনুমোদিত কোনও বিশ্ববিদ্যালয়েই সেই নির্দেশিকা সঠিক ভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ওই মামলার সূত্রেই মঙ্গলবার রাজ্যকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রভোট করানো এবং র‌্যাগিং-বিরোধী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই সংক্রান্ত মামলায় ছাত্র সংসদকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু মামলাকারী জানান, ২০১৭ সাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচন বন্ধ আছে। এর ফলে র‌্যাগিং-বিরোধী নিয়মাবলিও ছাত্রদের মধ্যে প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে ঢিলেমি দেখা দিয়েছে। ক্যাম্পাসে কোনও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নেই। ছাত্রদের অভিযোগ জানানোর জায়গাও নেই।

এর পরেই বিচারপতি জানতে চান, ছাত্রভোট করায় কে? মামলাকারী জানান, রাজ্য সরকার নির্দেশ দিলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করেন এবং পরিচালনা করেন।

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, আর কে রাঘবন কমিটির নিয়মগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্ত হওয়া দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিরই উচিত, রাজ্য সরকারের কাছে ভোট আয়োজনের অনুমতি চাওয়া।

বিচারপতি নির্দেশ দেন, রাজ্য সরকারকে সব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ভোট করানোর জন্য উদ্যোগী হওয়ার বিষয়ে নোটিস পাঠাতে হবে। উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে মেয়ো রোডে তৃণমূলের ছাত্রসংগঠনের সভা থেকে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছাত্রভোটের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। পুজোর পরে ছাত্রভোট হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন