কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
বিচারপতি এবং আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ঘটনায় এ বার কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই ঘটনায় কারা অভিযুক্ত, তা চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বিশেষ বেঞ্চ। বিষয়টি অনুসন্ধানের পর আদালতে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
কলকাতার পুলিশ কমিশনারের উদ্দেশে হাই কোর্ট জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনাকে একটি ফৌজদারি অপরাধ বলে মনে করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না-হয়, সে দিকেও নজর রাখতে হবে। দু’সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। বস্তুত, উচ্চ প্রাথমিকের মামলাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। পাশাপাশি আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং তাঁর অধস্তন আইনজীবীদের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। ওই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে হাই কোর্ট এবং আদালত অবমাননার মামলা রুজু হয়।
শুক্রবার ওই মামলার শুনানিতে আইনজীবী পার্থসারথি সেনগুপ্ত জানান, তিন জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। বাকিদের পুলিশকে খুঁজতে হবে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে হবে। সে কথা শুনে বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অভিযুক্তদের নোটিস পাঠানো হোক। কুণাল ঘোষ, চাকরিপ্রার্থী রাজু দাস-সহ ১৫ জনকে অবিলম্বে নোটিস পাঠানোর জন্য বলেছে আদালত। তিনি জানান, ওই ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট মামলায় নোটিস পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করবেন হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল।
হাই কোর্টের বিশেষ বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ওই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এটি আদালত অবমাননার ফৌজদারি অপরাধ। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা উচিত। বিচার ব্যবস্থাকে হেনস্থা করতেই এমন ধরনের কাজ করা হয়েছে। অনুসন্ধান রিপোর্ট আদালত দেখবে। তার পরেই এই নিয়ে আদালত পরবর্তী নির্দেশ বিবেচনা করবে। ঘটনার দিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত হাই কোর্টের ওল্ড পোস্ট অফিস স্ট্রিট এবং কিরণশঙ্কর রায় রোড চত্বরের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে বলে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।