জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলপ্রকাশ নিয়ে হাই কোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ। — ফাইল চিত্র।
জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল প্রকাশ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশের উপর আপাতত হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ। হাই কোর্টের বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চ ফল প্রকাশের সময় বেঁধে দিয়েছে। আবার এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টেও মামলা দায়ের হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সেখানে শুনানি হতে পারে। ফলে এখনই ডিভিশন বেঞ্চ কোনও নির্দেশ দিচ্ছে না। আগামী ২ সেপ্টেম্বর এই মামলাটি ফের শুনতে পারে ডিভিশন বেঞ্চ।
গত ৭ অগস্ট রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু অন্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি) সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ধাক্কা খেয়েছে জয়েন্টের ফলপ্রকাশ। ইতিমধ্যে তৈরি হওয়া মেধাতালিকা বাতিল করে নতুন করে মেধাতালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের একক বেঞ্চ। তাঁর নির্দেশ, ২০১০ সালের আগের ৬৬টি ওবিসি সম্প্রদায়ের তালিকার ভিত্তিতেই নতুন মেধাতালিকা তৈরি করতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে আদালতের এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে বোর্ডকে। হাই কোর্টের একক বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে।
এরই মধ্যে জয়েন্টের ফলপ্রকাশের দাবিতে হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার ওই মামলা ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। কিন্তু একক বেঞ্চের নির্দেশে এখনই কোনও হস্তক্ষেপ করল না হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
বস্তুত, সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি শংসাপত্র সংক্রান্ত মামলাটির সঙ্গেই জয়েন্টের ফলপ্রকাশ সংক্রান্ত মামলাটি জুড়ে রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ওবিসি মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার রাজ্যের আইনজীবী হাই কোর্টে জানান, তাঁরা আগামিকালই জয়েন্টের ফলসংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। জয়েন্টের ফল সংক্রান্ত বিষয়টি যাতে আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকেই শোনা হয়, সেই আবেদন জানাবেন তাঁরা। এ অবস্থায় একক বেঞ্চের নির্দেশে এখনই কোনও হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ।
হাই কোর্টের বিচারপতি চন্দের বেঞ্চের নির্দেশ রয়েছে, ওবিসি পড়ুয়াদের জন্য পূর্বের মতো ৭ শতাংশ সংরক্ষণই বরাদ্দ থাকবে। তা ছাড়া, নতুন ওবিসি তালিকা মেনে মেধাতালিকা প্রকাশ করা যাবে না। তালিকা প্রকাশ করলে তা করতে হবে পুরনো বিধি মেনে। অর্থাৎ, ২০১০ সালের আগের ৬৬টি ওবিসি সম্প্রদায়ের তালিকার ভিত্তিতেই নতুন মেধাতালিকা তৈরি করতে হবে। হাই কোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার।