মাদকের মামলায় ঘুষ, ধৃত অফিসার-কৌঁসুলি

সোমবার রাতে নিউ পার্ক স্ট্রিটের অফিস থেকে ৫০ হাজার টাকা-সহ দানেশ হক নামে ওই আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়। কলকাতার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় এনসিবি অফিসার অমরেন্দ্র কুমারকে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:১৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

আদতে মাদকের মামলা। সেই মামলা থেকে এক ব্যক্তিকে রেহাই দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবী এবং নার্কোটিক্স কন্ট্রোল বুরো বা এনসিবি-র এক অফিসারকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

Advertisement

সোমবার রাতে নিউ পার্ক স্ট্রিটের অফিস থেকে ৫০ হাজার টাকা-সহ দানেশ হক নামে ওই আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়। কলকাতার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় এনসিবি অফিসার অমরেন্দ্র কুমারকে।

সিবিআই জানিয়েছে, কয়েক বছর আগে ‘ম্যাজিক মাশরুম’ নামে এক ধরনের মাদক পাচারের ঘটনায় আলিপুর থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করে এনসিবি। ধৃতদের এক জনকে জেরা করে প্রতাপাদিত্য লাহিড়ী নামে এন্টালির এক বাসিন্দার নাম জানা যায়। তাঁকে কয়েক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেন অমরেন্দ্র। ওই মামলার বিষয়ে দানেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রতাপ। ৩১ অগস্ট সিবিআইয়ের কাছে প্রতাপ অভিযোগ করেন, মাদক-মামলা থেকে তাঁকে রেহাই দেওয়ার জন্য দু’লক্ষ টাকা ঘুষ চাইছেন দানেশ। বলেছেন, ওই টাকা নাকি অমরেন্দ্রকে দিতে হবে। অগ্রিম হিসেবে ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়।

Advertisement

অভিযোগ পেয়ে প্রতাপকে নিয়ে এক সিবিআই অফিসার সোমবার দানেশের অফিসে যান। তাঁর সামনেই অমরেন্দ্রের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলতে থাকেন দানেশ। তাঁর সব কথা রেকর্ড হয়ে যায় সিবিআই অফিসারের পকেটে থাকা রেকর্ডারে। ফোন রেখে দানেশ ৫০ হাজার টাকা দিতে বলেন প্রতাপকে। ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিলে রাসায়নিক মাখানো ছিল। দানেশ সেই বান্ডিল নিতেই সিবিআইয়ের অন্য কর্মী-অফিসারেরা তাঁর অফিসে ঢুকে তাঁকে গ্রেফতার করে। অমরেন্দ্রকে রাতে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার ধৃতদের আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে তোলা হয়। বিচারক ৫০ হাজার টাকা জামানত এবং এক আইনজীবীর জিম্মাদারির শর্তে দু’জনের জামিন মঞ্জুর করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement