—প্রতীকী চিত্র।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। তদন্ত কবে শেষ হবে তাই নিয়ে প্রশ্ন আদালতের। সোমবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির তদন্ত কবে শেষ হবে, আমাদের কারও জানা নেই।’’ উচ্চ আদালত আরও বলে, ‘‘তদন্ত শেষ না-হলে জানা সম্ভব নয়, দুর্নীতি করে কারা কারা চাকরি পেয়েছেন এবং ওই দুর্নীতিতে কারা যুক্ত রয়েছেন।’’
প্রায় তিন মাস ধরে প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি চলছে হাই কোর্টে। এর আগে রাজ্য সরকার এবং পর্ষদের পক্ষ থেকে সওয়াল করা হয়। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে সওয়াল করেন মূল মামলাকারীদের আইনজীবীরা। আইনজীবী সৌম্য মজুমদারের সওয়াল, ‘‘মেধাতালিকা সঠিক ভাবে প্রকাশ করেনি পর্ষদ। মেধাতালিকা প্রকাশে ব্যাপক জটিলতা তৈরি করা হয়েছিল। যাতে কোনও ত্রুটি থাকলে সহজে ধরা না যায়।’’
তাঁর উদ্দেশে পাল্টা বিচারপতি চক্রবর্তীর প্রশ্ন, ‘‘মেধাতালিকা প্রকাশের জন্য কী পদ্ধতি মেনে চলা উচিত ছিল? কোনও নির্দিষ্ট নিয়মে কি এটি প্রকাশ করার কথা? ওই আইনজীবীর বক্তব্য, এর জন্য কোনও বিধি নেই। তবে এই ধরনের চাকরিতে জেলা অনুযায়ী স্বচ্ছ ভাবে প্রশিক্ষিত, প্রশিক্ষণহীন, জাতি, বিষয় এবং নম্বরভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করা উচিত ছিল। এর পরেই বিচারপতি চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘তা হলে পুরো মেধাতালিকা নতুন করে প্রকাশ করা উচিত? ১ লক্ষ ২৫ হাজার আবেদনকারীর প্যানেল করতে হবে?’’ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এত শিক্ষকের চাকরি বাতিল পরিবারের উপর প্রভাব পড়বে। ইতিমধ্যে তাঁরা পাঁচ বছর চাকরি করে ফেলেছেন। মামলা প্রায় ২ বছর চলল। ফলে ওই শিক্ষকেরা তো গ্র্যাচুইটির জন্য বিবেচিত হবেন। এই অবস্থায় বিকল্প কী হতে পারে?
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।