Calcutta High Court

‘বয়সসীমার অজুহাতে পেনশন আটকে রাখা ঠিক নয়’! অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর বকেয়া মেটানোর জন্য রাজ্যকে নির্দেশ হাই কোর্টের

স্বপন প্রথমে ১৯৯৯ সালের এক মেমোর ভিত্তিতে চুক্তিভিত্তিক সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নিযুক্ত হন। পরে ২০০৬ সালের সরকারি নির্দেশ অনুসারে ২০০৭ সালে তাঁকে নির্মাণ সহায়ক পদে সাময়িক ভাবে নিয়োগ করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৫ ২৩:১৭
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

১৭ বছর ধরে নির্মাণ সহায়কের দায়িত্ব পালনের পরেও পেনশন পাননি! এই অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী স্বপনকুমার খাসনবীশ। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরী রায় দিয়ে জানান, রাজ্য সরকারকে অবশ্যই ৬ শতাংশ সুদ-সহ পেনশন ও পেনশনজনিত সব বকেয়া সুবিধা ১২ সপ্তাহের মধ্যে ওই ব্যক্তিকে মিটিয়ে দিতে হবে।

Advertisement

স্বপন প্রথমে ১৯৯৯ সালের এক মেমোর ভিত্তিতে চুক্তিভিত্তিক সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নিযুক্ত হন। পরে ২০০৬ সালের সরকারি নির্দেশ অনুসারে ২০০৭ সালে তাঁকে নির্মাণ সহায়ক পদে সাময়িক ভাবে নিয়োগ করা হয়। ২০১০ সালে তাঁর চাকরি স্থায়ী করা হয়। এর পর টানা ১৭ বছর ওই পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি তিনি অবসর নিলেও এখনও পর্যন্ত পেনশন পাননি বলে অভিযোগ।

রাজ্য সরকারের যুক্তি, নির্মাণ সহায়ক পদে তাঁর স্থায়ীকরণ হয় ৪৩ বছর বয়সে। ওই পদের স্থায়ীকরণের জন্য যে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারিত রয়েছে, তার চেয়ে বেশি বয়সে স্থায়ী হয়েছেন স্বপন। তাই তাঁকে পেনশন দেওয়া যাবে না।

Advertisement

এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে স্বপন উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন। বিচারপতি বসু চৌধুরী ২১ নভেম্বর আদালতে পেনশন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে হাজির থাকার নির্দেশ দেন। নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার কর্মকর্তারা নথিপত্র নিয়ে আদালতে হাজির হন এবং জানান, স্বপনের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিল করার অনুমোদন মাননীয় রাজ্যপাল আগেই প্রদান করেছিলেন।

এই তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পরে আদালত জানায়, বয়সসীমার অজুহাতে পেনশন আটকে রাখা আইনসঙ্গত নয়। এর পরই বিচারপতি বসু চৌধুরী আবেদনকারীকে পেনশনের সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেন। স্বপনের আইনজীবী উদয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আজকের রায় শুধু আমার মক্কেলের জন্য নয়, এমন বহু কর্মীর জন্য বড় স্বস্তির বার্তা।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement