বিএড মামলায় রাজ্যের মত চায় হাইকোর্ট

আইনজীবী এক্রামূল বারি সোমবার জানান, এ রাজ্যের বিভিন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে ২০১৩ সালে কয়েক হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা নিযুক্ত হন। তাঁদের অনেকেরই স্নাতক স্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর নেই।

Advertisement

শমীক ঘোষ

শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৪১
Share:

মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকার স্নাতক স্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর নেই তাঁরা বিএড প্রশিক্ষণের ব্যাপারে ছাড় পাবেন কি না, তা নিয়ে রাজ্যের মত জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। পুজোর ছুটির পরে হাইকোর্ট খুললে রাজ্যকে তার বক্তব্য পেশ করতে হবে।

Advertisement

আইনজীবী এক্রামূল বারি সোমবার জানান, এ রাজ্যের বিভিন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে ২০১৩ সালে কয়েক হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা নিযুক্ত হন। তাঁদের অনেকেরই স্নাতক স্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর নেই। ২০১৫-তে তৈরি ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন’-এর (এনসিটিই) নিয়ম অনুযায়ী, মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে চাকরি পেতে হলে কোনও প্রার্থীকে স্নাতক স্তরে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। একই সঙ্গে প্রার্থীদের বিএড প্রশিক্ষণও থাকতে হবে। যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বিএড প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য ২০১৭ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণের মেয়াদ পরে বাড়িয়ে ২০১৯ -এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় দেয় কেন্দ্র। এ নিয়ে সংসদে বিলও পাশ হয়েছে।

কিন্তু যে সব শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্নাতক স্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর নেই তাঁদের চাকরি থাকবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাঁদের বিএড প্রশিক্ষণের সুযোগ পাওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। ফলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এক্রামূলবাবুর মক্কেল অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ কয়েকশো শিক্ষক।

Advertisement

গত ১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদালতে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। আবেদনকারীদের আইনজীবী তাঁর সওয়ালে জানান, রাজ্য মনে করলে চাকরি প্রার্থীদের স্নাতক স্তরের ন্যূনতম প্রাপ্ত নম্বরে ছাড় দিতে পারে। তবে, সে জন্য রাজ্যকে এনসিটিই-র অনুমতি নিতে হবে। এনসিটিই অনুমতি দিলে ওই শিক্ষকেরা ‘ওপেন ডিসট্যান্স লার্নিং মোড’-এ বিএড প্রশিক্ষণ নিয়ে চাকরি বজায় রাখতে পারবেন।

আদালতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) আইনজীবী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এ নিয়ে তাঁর কিছু বলার নেই। কারণ, শিক্ষক নিযুক্তির প্রক্রিয়া শেষ। নিযুক্তি পত্রও দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি এখন রাজ্য এবং এনসিটিই-র বিবেচ্য।

তা শুনে বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যকে তার বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement