বছর তিনেক আগেই সুপ্রিম কোর্টে তিন বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, চিকিৎসকদের ধর্মঘটে যোগ দেওয়া উচিত নয়। অথচ গত ২৬ অগস্ট, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ধর্মঘটের দিন বেশির ভাগ চিকিৎসক সামিল হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা হয়েছে। শুক্রবার তার শুনানিতে আদালত নির্দেশ দেয়, ডাক্তারেরা কেন ধর্মঘটে যাচ্ছেন, কারা যাচ্ছেন, হলফনামা দিয়ে তা জানানো হোক।
আদালতে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের দাবি, ওই ধর্মঘটে বেশির ভাগ ডাক্তার যোগ দেননি। তবে মামলার আবেদনকারী প্রবাসী চিকিৎসক কুণাল সাহার অভিযোগ, চিকিৎসকদের বড় অংশ ধর্মঘটে যোগ দেওয়ায় অনেক রোগী মারা যান। অনেক রোগীর জীবন বিপন্ন হয়।
কাউন্সিলের আইনজীবী শৈবালেন্দু ভৌমিকের যুক্তি, আবেদনকারী তাঁর মক্কেলের (কাউন্সিল) কাছে নির্দিষ্ট অভিযোগ করেননি। তিনি জানাননি, ধর্মঘটে কোন কোন চিকিৎসক যোগ দিয়েছিলেন বা কোন হাসপাতালে রোগী-মৃত্যু হয়েছিল। ধর্মঘটে কারা যোগ দিয়েছিলেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল বিভিন্ন হাসপাতালের কাছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই আদালতকে এ কথা জানাচ্ছেন তিনি।
ওই মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। এ দিন শুনানির পরে দু’পক্ষকেই হলফনামা দিতে বলেছে ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত চিকিৎসকেরা যাতে মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার (এমসিআই) ‘কোড অব মেডিক্যাল এথিক্স’ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নীতিনিয়ম মেনে চলেন, তা কাউন্সিলকেই নিশ্চিত করতে হবে। ফের শুনানি হবে চার সপ্তাহ পরে।