বাইপাসের বেআইনি নির্মাণ নিয়ে আদালতের ক্ষোভের মুখে রাজ্য

আদালত অবমাননার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্ট তীব্র ভর্ৎসনা করল রাজ‌্য সরকারকে। পূর্ব কলকাতায় জলাভূমি ভরাট করে হওয়া বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। এক বার নয় দু’বার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১৭:২২
Share:

আদালত অবমাননার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্ট তীব্র ভর্ৎসনা করল রাজ‌্য সরকারকে। পূর্ব কলকাতায় জলাভূমি ভরাট করে হওয়া বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। এক বার নয় দু’বার। কিন্তু, রাজ্য সেই নির্দেশকে ছ’বছর ধরে অবজ্ঞা করছে। প্রবল বিরক্তি প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, ৯ অক্টোবরের মধ‌্যে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতেই হবে।

Advertisement

ইএম বাইপাসের দু’পাশে এবং সংলগ্ন এলাকায় বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন জলাভূমি ভরাট করে তৈরি হয়েছে একের পর এক ইমারত। ২০০৭ সালে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়। ২০০৯ সালেই আদালত জানায়, জলাভূমি ভরাট করে হওয়া বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে। কিন্তু, তৎকালীন সরকার ব‌্যবস্থা নিতে পারেনি। সরকার বদলের পরও নির্দেশের রূপায়ণ না হওয়ায় ২০১৩ সালে হাইকোর্ট আবার একই নির্দেশ জারি করে। এ বারও নির্দেশ পালিত হয়নি। এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতেই আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয় রাজ‌্য সরকারের বিরুদ্ধে। তার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর শুক্রবার তীব্র ভর্ৎসনা করেন সরকারি কৌঁসুলিকে। তিনি বলেন, “ছ’বছর হয়ে গেল আমাদের নির্দেশ আপনারা মানছেন না। আপনারা শুধু বলছেন এফআইআর হয়েছে।” এখানেই থামেননি প্রধান বিচারপতি। তীব্র উষ্মা নিয়ে তিনি বলেন, “আসলে কোনও পদেক্ষপ এখনও নেওয়া হয়নি। এফআইআর করা সম্পূর্ণ লোক দেখানো বিষয়।”

প্রধান বিচারপতির মেজাজ আঁচ করে এ দিন সরকারি কৌঁসুলি সময় কেনার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, রাজ‌্য সরকার শুনানির পরবর্তী তারিখে হলফনামা দাখিল করে আদালতকে পরিস্থিতি জানাবে। কিন্তু, প্রধান বিচারপতি সে আবেদনও এ দিন মানেননি। আর্জি খারিজ করে তিনি বলেন, “কোনও হলফনামা আমি চাই না। আমি চাই ৯ অক্টোবর, ২০১৫-র মধ‌্যে নির্দেশ পালন করা হোক।”

Advertisement

এই নির্দেশের ফলে রাজ‌্য সরকারকে বেশ সমস‌্যায় পড়তে হতে পারে। প্রধান বিচারপতি যে তারিখ উল্লেখ করেছেন, তাতে রাজ‌্য সরকারের হাতে এক মাসও সময় নেই। এর মধ‌্যে পূর্ব কলকাতায় জলাভূমি ভরাট করে গড়ে ওঠা বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে ব‌্যবস্থা নেওয়া কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ যথেষ্ট। কিন্তু, হাইকোর্টের নির্দেশ মানা না হলে, আরও বড় বিপদে পড়তে হতে পারে সরকারকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন