দু’দিন আগেই বোলপুরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে আগামী অগস্টে। তারপর অবশ্য মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে তিনিই বকেয়া সব কাজ ৩০ মার্চের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন। তারপর থেকে জল্পনা চলছে, পঞ্চায়েত ভোটের তাহলে আর দেরি নেই। নির্বাচন কমিশনও ভোট প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এই অবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুরে জেলার উন্নয়ন প্রকল্পের পর্যালোচনা বৈঠকেও ইঙ্গিত মিলল, পঞ্চায়েত ভোট দোরগোড়ায়। বৈঠক শেষে জেলাশাসক রশ্মি কমল সাফ বললেন, ‘‘আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে আমাদের জেলায় এটাই শেষ পর্যালোচনা বৈঠক হল। এটা একপ্রকার ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠান।’’
শনিবার তমলুক শহরের সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল জেলার সব গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ ও সদস্যদের। ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও। সেখানেই একশো দিনের কাজ, মিশন নির্মল বাংলা, বাংলার আবাস যোজনায় জেলার সেরা তিন পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতকে পুরস্কৃত করা হয়। সেই সঙ্গে সভায় উপস্থিত সব পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষদের হাতে তুলে দেওয়া হয় স্মারক উপহার। রঙিন কাগজে মোড়া ছিল বাহারি কাপ-প্লেট। সঙ্গে ছিল মিষ্টিমুখের আয়োজনও। জেলাশাসক বলেন, ‘‘এতদিন ভাল কাজ করার জন্যই ওই ছোট্ট উপহার দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের নিজস্ব তহবিল থেকেই সব আয়োজন করা হয়েছে।’’
বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘গ্রামোন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলা গোটা ভারতবর্ষে মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। রাজনৈতিকভাবে কেন্দ্রে বিরোধী দলের সরকার থাকলেও তারা আমাদের এই কৃতিত্ব স্বীকার করে নিয়েছে।’’ বৈঠকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল, সহ-সভাধিপতি সেখ সুফিয়ান-সহ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরাও ছিলেন।