State News

চিরাগ কর্তা শিবাজি এবং কৌস্তুভকে গ্রেফতার করল সিবিআই

নানান সময়ে ১১টি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন শিবাজি এবং কৌস্তুভ। অভিযোগ, সমস্ত ক্ষেত্রেই তাঁরা জাল নথি দিয়েছিলেন। ব্যাঙ্ক অব বরোদা তাঁদের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপের অভিযোগ করে। তার পরেই তদন্তে নামে সিবিআই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৮ ১৮:৪৩
Share:

শিবাজি পাঁজা এবং কৌস্তুভ রায়। —ফাইল চিত্র।

জাল নথি জমা দিয়ে একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়া এবং ঋণ শোধ না করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল শিবাজি পাঁজা এবং কৌস্তুভ রায়কে। আরপি ইনফোসিস্টেমের ওই দুই কর্ণধারের বিরুদ্ধে প্রায় ৫১৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁদের গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

Advertisement

এ দিন দুপুরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় শিবাজি এবং কৌস্তুভকে। এই নিয়ে চতুর্থ বার জেরার পর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। আগামী কাল শুক্রবার তাঁদের দু’জনকেই আদালতে তোলা হবে। তাঁদের রিমান্ডে পাওয়ার আর্জি জানাবে সিবিআই। হেফাজতে পেলে আরও জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াও, বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হবে বলে সিবিআই সূত্রে জানানো হয়েছে।

নানান সময়ে ১১টি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন শিবাজি এবং কৌস্তুভ। অভিযোগ, সমস্ত ক্ষেত্রেই তাঁরা জাল নথি দিয়েছিলেন। ব্যাঙ্ক অব বরোদা তাঁদের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপের অভিযোগ করে। তার পরেই তদন্তে নামে সিবিআই। ওই টাকা কী ভাবে, কোথায় খরচ করা হয়েছে সে ব্যাপারে সিবিআই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু, কোনও ক্ষেত্রে সন্তোষজনক জবাব মেলেনি বলেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সিবিআইয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নিয়ে দলীয় বৈঠকেও গেলেন না শোভন

আরও পড়ুন: শামির ফোন-কলে শান্তিরই অনুরোধ

এর আগে গত শনিবার কৌস্তুভকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। তাঁর কাছে চাওয়া হয় বিভিন্ন নথিপত্র। কিছু নথি জমাও দিয়েছিলেন কৌস্তুভ। তার পরে আরও কিছু নথি চেয়ে পাঠানো হয় এ দিন। সে সব নিয়ে যাওয়ার পর এ দিন তাঁকে ফের একপ্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ডে নিয়ে তাঁদের দু’জনকে মুখোমুকি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সূত্রের খবর।

প্রতারণার যে অভিযোগ সিবিআই করছে, তাতে আরও কারও কারও যোগসাজস ছিল কি না তারও খোঁজখবর চলছে। বিশেষ করে যে সব ব্যাঙ্ক থেকে ‘অবৈধ উপায়ে’ ঋণ পেয়েছিলেন কৌস্তুভ-শিবাজি, তার কোনও কোনও কর্তাব্যক্তিও জড়িত থাকতে পারেন বলে সিবিআই সন্দেহ করছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন